কলকাতা: অভিনেত্রী সায়নী ঘোষকে কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ করলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। ২০১৫ সালে একটি ছবি পোস্টের অভিযোগে, অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়। এবিপি আনন্দর স্বরগরম অনুষ্ঠানে মন্তব্যের জেরে, অভিনেত্রী দেবলীনা দত্তকে খুন ও গণধর্ষণের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সায়নীর পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সায়নী-দেবলীনাকে হুমকি দেওয়ার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। এই প্রেক্ষিতে এবার কুকথা সৌমিত্র খাঁ-র মুখে। তিনি কড়া ভাষায় সমালোচনা করে বলেন, 'এই ধরনের কথা যাঁরা বলেন, তাঁরাই আসল যৌন কর্মী।'


সোশাল মিডিয়ায় বিজেপি সাংসদকে পাল্টা জবাব দিয়েছেন সায়নী ঘোষ। তিনি লিখেছেন, ''রাগে, শোকে আপনার ভারসাম্য হারানোটা খুবই স্বাভাবিক। আমি সব পেশাকেই সম্মান করি। ফলত, আপনি আমাকে বিশেষ ছোট করতে পারলেন না। তবে আপনি নিজে অনেকটা ছোট হলেন। মহিলাদের সম্মান করা আপনাদের রক্তে নেই। এমনকী আপনার পরিবারের প্রাক্তন একজন কয়েক দিন আগেই এই অভিযোগ করেছিলেন। আর আপনি এই কথাগুলো বলে সেটা আরো পরিস্কার করে দিচ্ছেন। যা বাংলার মা-বোনেদের জন্য যথেষ্ট চিন্তার কারণ। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, আপনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন। আর যাঁরা আপনাকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন তাঁদের পাশে একটু দাঁড়ান ও দায়িত্ববান হোন।''



এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, 'যেমন মানুষ, তেমনই তো প্রতিক্রিয়া হবে। তবে আমাদের দলের লোকদের বলব এই ধরনের ঘটনায় যেন না জড়ায়। '

কিছুদিন আগে বিতর্কিত ছবি পোস্ট করার অভিযোগে অভিনেত্রী সায়নী ঘোষের বিরুদ্ধে রবীন্দ্র সরোবর থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়। তথাগতর অভিযোগ, ওই বিতর্কিত ছবি তাঁর ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করেছে। তথাগত ট্যুইটে সায়নীর উদ্দেশে জানান, কলকাতা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অসমের এক বাসিন্দাও তাঁর ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত লাগার কারণে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করতে চলেছেন।




অভিনেত্রীর পাল্টা দাবি, ওই ট্যুইট ২০১৫ সালের। ট্যুইটটি যে আপলোড করা হয়েছে, তা তাঁর জানা ছিল না। ঘটনাটি নজরে আসার পরেই তিনি ট্যুইটটি মুছে দিয়েছেন বলে সায়নীর দাবি। সেইসঙ্গে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, কারও ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত দেওয়ার ইচ্ছা তাঁর নেই।

এরইমধ্যে অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে পূর্ব বর্ধমান জেলা হিন্দু জাগরণ মঞ্চের পক্ষ থেকে ধর্মবিশ্বাসে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে বর্ধমান সদর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।