পশ্চিম মেদিনীপুর: সবং এবার তৃণমূলের। কংগ্রেসের সাড়ে তিন দশকের গড়ে অবশেষে ফুটল জোড়াফুল।
২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে সিপিএম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী হিসেবে মানস ভুঁইয়া যত ভোটের ব্যবধানে জিতেছিলেন, উপনির্বাচনে একা তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে তাকে ছাপিয়ে গিয়েছেন তাঁর স্ত্রী, তৃণমূল প্রার্থী গীতারানি ভুঁইয়া।
জয় প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মানস ভুঁইয়া বলেন, নেতৃত্বের আওয়াজ ছিল এটাই। সিপিএম নয়, কংগ্রেস নয়, বিজেপি নয়। মানস ভুঁইয়াকে হারাতে হবে। হার উপভোগ করছি।
২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে সিপিএম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী হিসেবে মানস ভুঁইয়া সবং থেকে জিতেছিলেন ৪৯ হাজার ১৬৭ ভোটে। আর উপনির্বাচনে একা তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে তাঁর স্ত্রীর জয়ের ব্যবধান ৬৪ হাজার ১৯৬।
শুধু ভোটের ব্যবধানই নয়। গত বিধানসভা ভোটের তুলনায় সবংয়ে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোটের হারও বেড়েছে চোখে পড়ার মতো। ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে তৃণমূল যেখানে প্রায় ৩৬ শতাংশ ভোট পেয়েছিল, সেখানে উপনির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের হার প্রায় ১৫ শতাংশ বাড়িয়ে তারা পেয়েছে প্রায় ৫১ শতাংশ ভোট।
সবংয়ে তৃণমূল প্রার্থী গীতারানি ভুঁইয়া পেয়েছেন ১ লক্ষ ৬ হাজার ১৮৫ ভোট। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সিপিএম প্রার্থী পেয়েছেন ৪১ হাজার ৯৮৯টি ভোট। ৩৭ হাজার ৪৮৩টি ভোট পেয়ে ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে বিজেপি। সাড়ে তিন দশক ধরে হাতে থাকা সবংয়ে জমানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে কংগ্রেসের। তাদের প্রাপ্ত ভোট ১৮ হাজার ৬৩।
মানস ভুঁইয়া বলেন, মানুষ গুজরাত দেখেছে। মোদী দেখেছে। সিপিএম দেখেছে। কংগ্রেস দেখেছে। এখন পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রতিটি ধূলিকণায় মমতা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বছর শেষে সবং উপনির্বাচনের এই ফল তৃণমূলের জন্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। এরপরই উলুবেড়িয়া লোকসভা এবং নোয়াপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন রয়েছে। তারপরই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। সেই লড়াইয়ে নামার আগে ৫০ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়ে সবং জয় শাসক দলকে যথেষ্ট অক্সিজেন জোগাবে বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।