নদিয়া: নদিয়ার হাঁসখালি থানার বড়চুপড়িয়া গ্রামে এক তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে এবং গুলি করে খুন। মৃতের নাম আলিবুদ্দিন মণ্ডল। সূত্রের খবর, গতকাল সন্ধ্যায় ওই ব্যক্তি স্থানীয় বাজারের একটি দোকানে বসেছিলেন। আচমকাই কয়েকজন দুষ্কৃতী সেখানে বোমাবাজি করে। পরে আলিবুদ্দিনকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় তাঁরা। এমনকি তাঁকে কোপানো হয় বলেও অভিযোগ। দুষ্কৃতীরা পালিয়ে গেলে ওই তৃণমূল কর্মীকে বগুলা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কী কারণে খুন? তদন্তে পুলিশ।
নিহত তৃণমূল কর্মী এলাকায় সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। যেকোনও অন্যায় দেখলেই রুখে দাঁড়াতেন। খুনের পিছনে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ করেছে পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, যারা খুন করেছে, তারা সদ্য সিপিএম থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছে।
স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক এই খুনের ঘটনায় সিপিএম-বিজেপির দিকে আঙুল তুলেছেন। কিন্তু সিপিএম ওই অভিযোগ সরাসরি খারিজ করে দিয়েছে।
নদিয়া জেলা তৃণমূল সভাপতির দাবি, দলে ঢুকিয়ে দেওয়া মুকুল রায়ের আবর্জনাদের কাজ এই হত্যাকাণ্ড।
বিকেলে হাঁসখালিতে আসেন দলের মহাসচিব তথা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, দল আলিবুদ্দিনের পরিবারের পাশে রয়েছে। আলিবুদ্দিনকে রাজনৈতিক উদ্দেশে খুন করা হয়েছে। দোষীদের কেউ ছাড়া পাবে না বলেও তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।