প্রকাশ সিন্হা, কলকাতা: সারদাকাণ্ডে এবার জোড়াসাঁকো কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বিবেক গুপ্তকে তলব করল ইডি।
আগামী সোমবার তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদকে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইডি-র দাবি, বিবেক গুপ্তর প্রকাশনা সংস্থা থেকে সারদার পত্রিকা ছাপা হত। এ ব্যাপারে বিবেক গুপ্তর সঙ্গে সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের আর্থিক চুক্তি ও আর্থিক লেনদেন হয়েছিল।
কেন তিনি টাকা নিয়েছিলেন? কী চুক্তি হয়েছিল? তা জানতেই জোড়াসাঁকোর তৃণমূল প্রার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি। খবর সূত্রের। এর আগে সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন বিবেক গুপ্ত। তাঁর প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
এদিকে, বেতন বাবদ ও বিজ্ঞাপন এনে দেওয়ার জন্য সারদা থেকে পাওয়া টাকা গতকাল ইডিকে জমা দেন কুণাল ঘোষ। গতকাল ইডির কাছে তিনি ২ কোটি ৬৭ লক্ষ টাকা ফেরত দেন।
২০১৭ সালে এই টাকা ফেরত দিতে চেয়ে ইডির কাছে আবেদন করেছিলেন কুণাল। সারদা সংস্থা থেকে পাওয়া বেতন এবং বিজ্ঞাপন এনে দেওয়ার জন্য পাওয়া টাকা গতকাল ফেরত দিয়েছেন বলে দাবি করেন কুণাল।
কয়েকটি বিমা, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি এবং ৪৭ লক্ষ টাকার একটি ব্যাঙ্ক ড্রাফট জমা দেন কুণাল। তার আগে, তাঁকে দু'দফায় জেরা করা হয়।
কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি সূত্রে দাবি, তৃণমূলের মুখপাত্রকে নতুন করে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রভাবশালীদের আর কাছাকাছি পৌঁছতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
ইডি-দফতরে ঢোকার সময় পূর্ণ সহযোগিতার কথা বললেও, প্রায় সাড়ে ছ’ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর বেরনোর সময়, নাম না করে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়াদের বার্তা দেন কুণাল ঘোষ।
তারও আগে, গত ১০ তারিখ সারদাকাণ্ডে কুণাল ঘোষের পর ফুটবল কর্তা দেবব্রত সরকার ও সারদার বারুইপুরের এজেন্ট অরিন্দম দাসকে তলব করে ইডি।
সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে দেবব্রত সরকার ওরফে নীতুকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। ইডি দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয় সারদার বারুইপুরের এজেন্ট অরিন্দম দাসকে।
সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে দেবব্রত সরকার ওরফে নীতুকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। ইডি দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয় সারদার বারুইপুরের এজেন্ট অরিন্দম দাসকে।