বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একজনের মৃত্যু। আর তাকে ঘিরেই রণক্ষেত্র ডায়মন্ডহারবারের সরিষা। বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার অফিসে ভাঙচুর, গাড়িতে আগুন।


স্থানীয় সূত্রে খবর,  মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ, পারুলিয়া কোস্টাল থানার পুলিশকে নিয়ে উত্তর কামারপোল গ্রামে যান বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কর্মীরা।

সেই সময়ই বিদ্যুৎস্পষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় বছর সতেরোর কলিমুদ্দিন আনসারির। এলাকাবাসীর দাবি, বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা যখন মেরামতি করছিলেন, সেই সময়ই ঘটে দুর্ঘটনা।

কিশোরের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়া মাত্রই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। বিকেল পৌনে চারটে নাগাদ রোষ আছড়ে পড়ে উত্তর কামারপোল থেকে ২ কিলোমিটার দূরে সরিষায় বিদ্যুত্ব বণ্টন সংস্থার অফিসে।

বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে তাণ্ডব! কর্মী ও আধিকারিকদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় কম্পিউটার। লণ্ডভণ্ড করা হয় আলমারি!

দমকল যখন পৌঁছয় তখন সব শেষ! শেষে ডায়মন্ডহারবার থানা থেকে বাড়তি বাহিনী আনা হয়। এরপরই রণে ভঙ্গ দেয় বিক্ষোভকারীরা।

বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কর্মীদের একাংশের দাবি, মঙ্গলবার দুপুরে তাঁরা হুকিং বিরোধী অভিযানে গিয়েছিলেন। সেই খবর পেয়ে, তড়িঘড়ি নিজেদের হুকিং খুলতে গিয়েছিল ওই কিশোর। তখনই বিদ্যুৎস্পষ্ট হয় সে।

বিদ্যুৎমন্ত্রী অবশ্য দাবি করছেন, গ্রামে কোনও হুকিং বিরোধী অভিযান হয়নি।

কীভাবে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট, তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হলেও, চরম সত্যিটা হল মাত্র সতেরো বছরে শেষ হয়ে গেল একটি তরতাজা প্রাণ।