বারাসত (উত্তর ২৪ পরগনা): অচেনা নম্বর থেকে ফোন। ফোন তুললেই বিশেষ কোনও জিনিস বা পরিষেবা নেওয়ার জন্য ওপার থেকে নাছোড় আবদার।
অনলাইন শপিং-এর রমরমার জেরে ক্রমেই জনপ্রিয় হচ্ছে টেলিকলারের পেশা। জায়গায় জায়গায় গজিয়ে উঠছে প্রশিক্ষণকেন্দ্র। কিন্তু সেই প্রশিক্ষণকেন্দ্র নিয়েই বারাসতে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। অভিযোগ, টেলি শপিংয়ের আড়ালেই রমরমিয়ে চলছিল সেক্স ডেটিং। কলকাতার একেবারে নাকের ডগায়, উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে!!!!
সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেখে বাসারতের ডাক বাংলো মোড়ে এরকমই একটি টেলি শপিং সংস্থায় কাজে যোগ দেন কয়েকজন তরুণী। প্রথমে বলা হয়, তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তখনও এরা বুঝতে পারেননি, কোন ফাঁদে পা দিয়েছেন। বুঝতে পারলেন সোমবার।
অভিযোগ, সোমবার প্রশিক্ষণের জন্য যেতেই তাঁদের হাতে হিন্দি ভাষায় লেখা একটি খসড়া তুলে দেওয়া হয়। সেই খসড়া জুড়েই লেখা শুধু অশ্লীল কথা। প্রশিক্ষণ নিতে যাওয়া তরুণীদের দাবি, সংস্থার তরফে তাঁদেরকে পুরুষদের সঙ্গে যৌন উত্তেজক কথা বলার জন্য চাপ দেওয়া হয়। বলা হয় বিশেষত অবাঙালি পুরুষদের ফোন করে তাদের যৌন সম্পর্কের প্রস্তাব দেওয়া হবে।
তরুণীদের সাড়ে ৭ হাজার টাকা বেতন দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেয় বেসরকারি সংস্থা। সঙ্গে কাজ হাসিল করতে পারলে বোনাসের হাতছানি। তরুণীদের অভিযোগ, মঙ্গলবার সংস্থার অফিসে জমা করা নথি আনতে গেলে তাঁদেরই ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় কর্তৃপক্ষ। এরপর ক্ষিপ্ত তরুণীরা বারাসত থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এই বেসরকারি সংস্থার দায়িত্বে থাকা এক মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদের থানায় নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। এই চক্রে আরও কারা জড়িত তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।