সুনীত হালদার, হাওড়া: প্রায় ৭৭ লক্ষ টাকা তছরূপের অভিযোগে গ্রেফতার এক যুবক। ধৃতের নাম সোমেশ সোমানি। গুজরাটের সুরাট থেকে তাকে গ্রেফতার করে শিবপুর থানার পুলিশ। আজ তাকে পেশ করা হয় হাওড়া আদালতে। এরপরই ধৃতকে ৮ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। হাওড়ার শিবপুরের একটি নামি কোম্পানিতে (ট্রেনডি বাজার) গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকরি করতেন সোমেস সোমানি। তিনি থাকতেন হাওড়ার বেলুড়ে।
সারা দেশব্যাপী এই কোম্পানির মাল্টি লেভেল মার্কেটিং রয়েছে। জানা গিয়েছে, গত ২০২০ সালে এই কোম্পানির পক্ষ থেকে শিবপুর থানায় আর্থিক তছরূপের অভিযোগ করা হয় সোমেশের বিরুদ্ধে। এরপরই ঘটনার তদন্ত নেমে পুলিশ জানতে পারে ব্যবসার বিপুল পরিমাণ টাকা নিজের এবং পরিচিতদের অ্যাকাউন্টে সরিয়ে দিয়েছিল সে। পুলিশি তদন্তেই জানা গেছে নিজের বাবা, মা ও গার্লফ্রেন্ড সহ পরিচিতদের একাউন্টে বিপুল পরিমাণ টাকা সরিয়ে দেয় সোমস।
আইপিএল বেটিং করা তার নেশা ছিল। তছরুপ করা টাকায় হীরের সেট থেকে মূল্যবান সামগ্রী কিনে দিয়েছিল বান্ধবীকে। একইসঙ্গে খুলেছিল মাল্টিজিমও। বেশ কয়েকমাস ধরেই গা ঢাকা দিয়েছিল সোমেশ। প্রথমে চলে যায় রাজস্থান। এরপর সুরাট। এরইমধ্যে ছেলের কু কীর্তির কথা জানতে পেরে সোমেশের বাবা আত্মঘাতী হন। মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন সূত্র ধরে সুরাত থেকে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়। এই ঘটনায় আরও যারা জড়িত রয়েছে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও টাকা উদ্ধার করতে সোমশকে পুলিশি হেফাজতে নেয় তদন্তকারীরা।
এর আগে কিছুদিন আগে গুসকরায় আসল স্বর্ণমুদ্রা দেখিয়ে নকল সোনার কয়েন দিয়ে ৩ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল একজনের বিরুদ্ধে। কম দামে সোনার কয়েন দেওয়ার নামে মোটা টাকা হাতানোর বড়সড় চক্র চলছিল দীর্ঘদিন ধরেই। সেউ চক্রের এক চাঁই সহ পুলিশের জালে ধরা পড়েছিল ৩ জন।
স্বল্পমূল্যে সোনার কয়েন দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তিন লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছিল গুসকরা বিট হাউসের পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃতদের নাম সাগর মণ্ডল, খোকন সাহা ও শেখ মেহের। তাদের মধ্যে সাগর ও খোকনের বাড়ি আউশগ্রামের ভেদিয়ায়। আর বীরভূমের সাঁইথিয়ার ভ্রমরকোল গ্রামের বাসিন্দা আরেক ঋত ব্যক্তি মেহের।