কলকাতা:  পঞ্চায়েত নির্বাচনের দায়িত্বে নেই শোভন চট্টোপাধ্যায়। যদিও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তিনিই দলের সভাপতি! এই জেলায় পঞ্চায়েত ভোটের দায়িত্বে পেলেন সুব্রত বক্সি!!!


পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার তৃণমূল নেতৃত্ব ও জনপ্রতিনিধিরা। যদিও গরহাজির ছিলেন খোদ সভাপতিই!

সূত্রের খবর, বৈঠকে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে বার্তা দেওয়া হয়, শোভন চট্টোপাধ্যায় ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে এখন ব্যস্ত রয়েছেন। ফলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য তিনি কতটা সময় দিতে পারবেন, তা নিশ্চিত নয়।

সেরকম ভাবেই জেলা সভাপতি শোভন চট্টোপাধ্যায়কে বাদ রেখেই, বিভিন্ন নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার পঞ্চায়েত ভোটের সার্বিক দায়িত্বে সুব্রত বক্সি। প্রতীকের বিষয়ে দলের তরফে নির্বাচন কমিশনের কাছে যে চিঠি পাঠানো হবে তাতে সই করবেন শুভাশিস চক্রবর্তী।

তৃণমূল ভবনের বৈঠকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে,

দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিধায়করা ব্লক সভাপতিদের সঙ্গে কথা বলে একটি সম্ভাব্য প্রার্থীতালিকা তৈরি করবেন।

তাতে চূড়ান্ত সিলমোহর দেবে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, বৈঠকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার তৃণমূল বিধায়করা সুব্রত বক্সির কাছে আবেদন জানান, দক্ষিণ ২৪ পরগনাকেও আপনি আলাদা ভাবে দেখুন।

তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিনের বৈঠকটিও সুব্রত বক্সিই ডেকেছিলেন!! যেখানে গরহাজির ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।

কিছুদিন আগে জেলার পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে আরেকটি বৈঠকেও যাননি শোভন। নজরুল মঞ্চে দলের কোর কমিটির বৈঠকেও গরহাজির ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার তৃণমূল সভাপতি। পঞ্চায়েত ভোটের জন্য ওই বৈঠকে, রাজ্যস্তরে ৫ জনের একটি কমিটি তৈরি করে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সুব্রত বক্সি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যেপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাসরা থাকলেও জায়গা হয়নি শোভন চট্টোপাধ্যায়ের।

প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি দলে শোভনের ক্ষমতা খর্ব করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে? সেটা আঁচ করেই কি পরপর দলীয় বৈঠকগুলিতে গরহাজির থাকছেন তিনি? কারণ সূত্রের খবর, শোভনের ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে যা চলছে, তাতে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব ক্ষুব্ধ। তাঁরা মনে করছেন, এতে আসলে দলেরই ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। সে কারণেই কি, পদে রেখেও দক্ষিণ ২৪ পরগনার পঞ্চায়েত ভোট পরিচালনা থেকে দূরে রাখা হল শোভন চট্টোপাধ্যায়কে?