মলয় চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি: শিলিগুড়ি থেকে কলকাতায় চোরাই কাঠ পাচারের আগেই গ্রেফতার হলেন কেন্দ্রীয় রাজস্ব শুল্ক দফতরের এক অফিসার এবং একজন জিএসটি অফিসার।


বন বিভাগ সূত্রে খবর, দিন তিনেক আগে গোপন সূত্রে খবর আসে শিলিগুড়িতে কাস্টমসের ব্যবহৃত একটি গোডাউনে লুকিয়ে রাখা রয়েছে বিপুল পরিমাণ সেগুন কাঠ। 


এরপরই গোপনে নজরদারি শুরু করে বনবিভাগ। গতকাল রাতে ওই কাঠ শিলিগুড়ি থেকে কলকাতার উদ্দেশে পাচারের জন্য রওনা হলে বমাল গ্রেফতার হন সাতজন।


বনবিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত এই সাতজনের মধ্যে একজন কাস্টমস সুপারিন্টেন্ডেন্ট এ কে মাঝি। অন্যজন জিএসটি অফিসার দেবাশীস ধর রয়েছেন। 


এঁদের মধ্যে জিএসটি অফিসার দেবাশীস ধর আগেও নানা কুকর্মের জন্য সাসপেন্ড হয়েছিলেন। ধৃতদের হেফাজত থেকে ২৫ লক্ষ টাকার সেগুন কাঠ উদ্ধার করেন বনবিভাগের আধিকারিকরা। আটক করা হয়েছে কাঠ বোঝাই লরি এবং নীল বাতি লাগানো একটি স্করপিও গাড়ি। 


এদিকে, বাংলাদেশ থেকে ভারতে আনার সময়ে বসিরহাট ঘোজাডাঙা সীমান্তে বিএসএফের হাতে ধরা পড়ল প্রায় এক কোটি টাকার সোনার বিস্কুট। 


গতকাল বিকেলে পাহারা দেওয়ার সময়ে বসিরহাটের ঘোজাডাঙা সীমান্তের উত্তরপাড়ার বাসিন্দা গোপাল সরকার নামে একজনকে ধরেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১৫৩ ব্যাটালিয়নের জোওয়ানরা। 


তার কাছ থেকে প্রায় এক কেজি সাতশো গ্রামের বেশি ১১টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় সাতাশি লক্ষ ৬১ হাজার টাকা। 


রাতে বসিরহাট থানার হাতে গোপাল সরকারকে তুলে দেয় বিএসএফ। পুলিশ ধৃতকে গ্রেফতার করে। সোনার বিস্কুটগুলি রাতেই বসিরহাট শুল্ক দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়।


অন্যদিকে, কলকাতা থেকে এক মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ।  সূত্রে খবর, গত সোমবার দিল্লি পুলিশ শহরে আসে। তারপর একবালপুর এলাকা থেকে চন্দন কুমার বলে একজনকে গ্রেফতার করা হয়।


পুলিশের দাবি,আন্তঃরাজ্য মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত ধৃত চন্দন। আদালতে তোলা হলে বিচাকর চারদিনের ট্রানজিট রিমান্ডে ধৃতকে দিল্লি পুলিশের হাতে তুলে দেয়। রাতেই তাকে দিল্লি নিয়ে গেছে পুলিশ।