বাচ্চু দাস, শিলিগুড়ি: এবার ভুয়ো পুলিশের খোঁজ। ভুয়ো পুলিশ পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণার অভিযোগ। গ্রেফতার ভিন রাজ্য সিকিমের দুই বাসিন্দা সহ ৪ জন। উদ্ধার একটি বোলোরো গাড়ি, ডাক্তারের সিলমোহর ও কিছু কাগজপত্র।


শনিবার রাত বারোটা নাগাদ ভক্তিনগর থানার কাছে সিকিম যাওয়ার পথে সাত মাইল থেকে পুলিশের পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন গাড়ি থেকে টাকা তোলার অভিযোগ আসে। তৎক্ষণাৎ ভক্তিনগর থানার আইসি ঘটনাস্থলে পুলিশ ভ্যান পাঠিয়ে পুলিশ লেখা বোলেরো গাড়ি সমেত চার জনকে গ্রেফতার করে। এদের মধ্যে দুইজন সিকিমের বাসিন্দা ও বাকি দুইজন শিলিগুড়ির শালুগাড়ার বাসিন্দা।


অভিযুক্তদের কাছ থেকে ডাক্তারের সিলমোহর সহ কিছু সন্দেহ জনক কাগজ পত্র উদ্ধার করা হয়েছে। আজ অভিযুক্তদের জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, আদালতে পুলিশি রিমান্ডে অভিযুক্তদের ১৪ দিনের জন্য নেওয়ার আপিল করা হয়েছে। অভিযুক্তদের সঙ্গে আর কেউ জড়িয়ে আছে কিনা তা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে পুলিশ।  যে বোলেরো গাড়িটি পাওয়া গিয়েছে, তাতে পুলিশের স্টিকারও লাগানো ছিল।


কিছুদিন আগেই কলকাতা শহরে এমনই ছবি ধরা পড়েছিল। পুলিশ কমিশনারের মেয়ে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন এক তরুণী।। তাঁর পুলিশের উর্দি পরা ছবিও ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে ভাইরাল হয়েছিল। যাদবপুরের তরুণীর কাণ্ডকারখানায় লালবাজারে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তাঁরই আত্মীয়।


কলকাতার পুলিশ কমিশনারের ছবিতে লেখা ..বাপি...সঙ্গে ভালবাসার চিহ্ন। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে কলকাতা পুলিশের ইউনিফর্মে নানা ছবি। কখনও সার্জেন্ট, কখনও নিজেকে ইন্সপেক্টর বলে জাহির করতেন সেই  তরুণী। তাঁর নাম ইনি সুলগ্না ঘোষ। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে এভাবেই নানা পরিচয়ের জাল বুনেছিলেন যাদবপুরের বিক্রমগড়ের বাসিন্দা এই তরুণী। অভিযোগ, কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে নিজের বাবা পরিচয় দিতেন তিনি। সুলগ্নার বিরুদ্ধে এখনও কোনও প্রতারণার অভিযোগ দায়ের না হলেও, মিথ্যে পরিচয় দেওয়ার অভিযোগে, লালবাজারে নালিশ করা হয়েছে।


ভুয়ো আইএস, ভুয়ো সিবিআই অফিসারের পর এবার ভুয়ো পুলিশ পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠল।