হুগলি: আট বছর আগে যেখানে ধর্নায় বসেছিলেন তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেখানেই কি বিজয় দিবস পালন করতে চলেছে তৃণমূল?


আট বছর পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, তখনই সুপ্রিম কোর্টই বাম সরকারের সেই জমি অধিগ্রহণকে অবৈধ বলে রায় দিয়েছে। সিঙ্গুর রায়ের দিনই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ১৪ তারিখ হুগলির প্রশাসনিক হবে সিঙ্গুরেই। একসঙ্গে সেদিনই পালিত হবে সিঙ্গুর দিবস। আট বছর আগে কারখানার পাঁচিল লাগোয়া যে জায়গায় কৃষিজমি রক্ষা কমিটির ধর্নামঞ্চ ছিল, সেখানেই ১৪ তারিখের অনুষ্ঠান করা যায় কিনা, তা এদিন খতিয়ে দেখেন জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার। জমি সাফাইয়ের কাজ পরিদর্শন সেরে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, ওই স্থানে বিজয় দিবস পালনের কথা ভাবা হচ্ছে কারণ, ওখানেই মমতা ধর্নায় বসেছিলেন ১৪ দিন। এ নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে কথাও বলেছেন তিনি।

অনুষ্ঠান হলে যেখানে সভামঞ্চ হবে, তার পাশেই দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে। এই লেনটি বর্ধমানের দিকে যাওয়ার। পাশেরটি বর্ধমান থেকে ফেরার। ২০০৮ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন এখানে অবস্থানে বসেছিলেন, তখন দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে পুরোপুরি অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। এবার এখানে বিজয় দিবস পালিতে হলে মানুষের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তাও দেখছে সরকার।

সূত্রের খবর, জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কোথায় মঞ্চ হবে, কোথায় লোক বসবেন, তার স্কেচ এঁকে পাঠাতে। সেই স্কেচ ইউরোপ সফররত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পাঠানো হবে। তিনি এতে অনুমোদন দিলেই ভাবনাচিন্তা বাস্তবায়নের পথে এগোবে।

এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সিঙ্গুরে আসেন সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, হরিপালের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্নাও।