নদিয়া: চার বছর পর ভাইফোঁটার দিন বাড়ি ফেরার কথা ছিল দাদার। বোনের তাই খুশির সীমা ছিল না। কিন্তু, সেই আনন্দ দীর্ঘস্থায়ী হল না। দাদা ফিরল, কিন্তু কফিনবন্দি হয়ে।


সংঘর্ষবিরতি ভেঙে, পাকিস্তানের গোলাবর্ষণে মৃত্যু হয়েছে ভারতীয় সেনার জওয়ান, নদিয়ার তেহট্টের বাসিন্দা সুবোধ ঘোষের। ভাইফোঁটার আগেরদিনই বাড়িতে আসে তাঁর দেহ।


নিহত জওয়ানের বোন পলি ঘোষ বলেন, চার বছর ভাইফোঁটা দিতে পারিনি, ভেবেছিলাম একবার অন্তত ফোঁটা দেবে। কিন্তু সেটা আর হল না।

রবিবার রাতে নিহত জওয়ান সুবোধ ঘোষের কফিনবন্দি দেহ পৌঁছয় নদিয়ার তেহট্টের রঘুনাথপুরের গ্রামের বাড়িতে। রাতেই গান স্যালুটে শেষশ্রদ্ধা জানানো হয়। শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় পলাশির তেজনগর মহাশ্মশানে।


পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিলেন সুবোধ ঘোষ। মা-বাবা-স্ত্রী-মেয়ের সমস্ত দায়-দায়িত্ব ছিল তাঁরই কাঁধে। এখন তাঁর অবর্তমানে কী হবে, সেই ভাবনাও গ্রাস করেছে পরিবারের সদস্যদের। নিহত জওয়ানের বাবা বলেন, সরকারের তরফে কোনও আশ্বাস দেওয়া হয়নি।


দেশকে রক্ষা করতে গিয়েই প্রাণ গিয়েছে দাদার। ভাইফোঁটা হোক বা রাখী -- আর কখনও ফিরবে না সে। অপেক্ষাটাও আর থাকল না, আক্ষেপ বোনের...