কোচবিহার: শীতলকুচিকাণ্ডে সিআইডি তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। সূত্রের খবর, ভোটের দিন গুলি চলেছিল বুথের দিকে তাক করেই। প্রাথমিক তদন্তে এমনই অনুমান সিআইডি-র।
সূত্রের খবর, দরজা ভেদ করে ভিতরে ঢুকে যায় গুলি। তা গিয়ে লাগে ব্ল্যাকবোর্ডের গায়ে। ঘটনার দিন বুথের ভিতরে থাকা এক পুলিশ কর্মী ও এক ভোট কর্মীর বয়ান ইতিমধ্যেই রেকর্ড করেছে সিআইডি।
কেন বুথের দিকে তাক করে গুলি চালানো হল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, আজ ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন ব্যালেস্টিক বিশেষজ্ঞরা।
১০ এপ্রিল চতুর্থ দফা ভোটের দিন কোচবিহারের শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে গুলি চলে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় চারজনের।
এর আগে শীতলকুচি কাণ্ডে হস্তক্ষেপ করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ভোট চলাকালীন শীতলকুচিতে সিআইএসএফের গুলিতে ৪ জনের মৃত্যু হয়। এনিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজি-কে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই ঘটনার তদন্তভার সিআইডির হাতে তুলে দেন। গত মাসের মাঝামাঝি, শীতলকুচিকাণ্ডের তদন্তে ঘটনাস্থলে যায় ডিআইজি সিআইডি-র নেতৃত্বাধীন বিশেষ তদন্তকারী দল। নেতৃত্বে ছিলেন ডিআইজি সিআইডি স্পেশাল কল্যাণ মুখোপাধ্যায়। জোড়পাটকির ১২৬ নম্বর বুথে যান সিআইডি অফিসাররা। ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে এরিয়াল ভিউ নেওয়া হয়। তদন্ত প্রক্রিয়ায় সিআইডির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিল মাথাভাঙা থানার পুলিশ।
গুলিকাণ্ডের পুনর্নির্মাণ করা হয়। এর পাশাপাশি, মিলিয়ে দেখা হবে মাথাভাঙা থানার পুলিশ অফিসারদের জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসা তথ্য। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে পাওয়া তথ্যও যাচাই করা হয়।
শীতলকুচির ঘটনায় শুরু থেকেই উঠে এসেছে এক নাবালকের নাম। কেন্দ্রীয় বাহিনী তাকে মারধর করাতেই অশান্তি ছড়ায় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। সোমবার ওই নাবালক সব একাধিক প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলে সিআইডির প্রতিনিধি দল।
চতুর্থ দফার ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজনের মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই মাথাভাঙার মহকুমা পুলিশ সুপার, থানার অফিসার-ইনচার্জ, তদন্তকারী অফিসার, ঘটনার দিনের ক্যুইক রেসপন্স টিম, সেক্টর অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিআইডি।
কিন্তু গুলি চালনায় অভিযুক্ত সিআইএসএফের ছয় জওয়ানকে তলব করা হলেও, রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থার সামনে তাঁরা এখনও হাজির হননি। এপ্রসঙ্গে কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, যে ছয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানকে ডাকা হয়েছে, তাঁদের নিয়ম অনুযায়ী আবার চিঠি দেওয়া হবে।