সিউড়ি: রামনবমী উপলক্ষ্যে সশস্ত্র মিছিল ঘিরে বিতর্কের রেশ এখনও কাটেনি। তার মধ্যেই এবার হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষ্যে মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার বাধল বীরভূমে।

মঙ্গলবার সিউড়ি বড়বাগান হনুমান মন্দির থেকে মিছিল বার করে একটি ধর্মীয় সংগঠন। মাথায় ফেট্টি বেঁধে, হাতে গেরুয়া পতাকা নিয়ে তাতে পা মেলান কয়েকশো তরুণ। পুলিশ সূত্রে দাবি, মিছিলের জন্য কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। তাই একটু দূরেই মিছিল আটকে দেওয়া হয়। কিন্তু, মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা সে কথায় কান দেননি। উল্টে পুলিশকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে, তারা মিছিল নিয়ে এগিয়ে যায়।

মধ্যাহ্নভোজের পর মিছিল কয়েকটিভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। তার মধ্যে একটি অংশ যায় সিউড়ি বাস স্ট্যান্ডের দিকে। পুলিশ সেখানে আগে থেকেই ব্যারিকেড করে রেখেছিল। কিন্তু, মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা সেই ব্যারিকেডও ভেঙে এগিয়ে যায়।

বাধা দিলে, মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তি শুরু করে দেন।

পাল্টা লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ।

একবার মিছিলের লোকজন পুলিশের দিকে ধেয়ে যায়। পুলিশ পাল্টা লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যায়।

পরিস্থিতি সামলাতে নামাতে হয় র্যাফ এবং ইএফআর। দীর্ঘক্ষণ পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।

১৬ এপ্রিল বীরভূমে পাল্টা মিছিলের ডাক দিয়েছে তৃণমূল। দলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এ কথা জানিয়েছেন।

এ দিন হনুমান জয়ন্তীর মিছিলের ছবি তুলতে গিয়ে বিজেপি নেতাদের হাতে বেধড়ক মার খান দুই সিভিক ভলান্টিয়ার।

পুলিশ সূত্রে দাবি, সিউড়ি থানার ওই দুই সিভিক ভলান্টিয়ার সাধারণ পোশাকে মিছিলের ছবি তুলছিলেন। হঠাৎই স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব তাঁদের পরিচয়পত্র দেখতে চান। দেখাতে না পারায় দু’জনকে বেধড়ক মারধর করা হয়।

মারধরের পর তাঁদের বিজেপি অফিসে আটকে রাখা হয় বলেও অভিযোগ। পরে পুলিশ গিয়ে দুই সিভিক ভলান্টিয়ারকে উদ্ধার করে।