সম্পত্তির জন্য বৃদ্ধ মাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। কাঠগড়ায় ছেলে এবং ছেলের বউ। ছেলে আবার শিক্ষক। বারুইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের। বউমা গ্রেফতার। অভিযুক্ত শিক্ষক ছেলে পলাতক।


দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুভাষগ্রামের বাসিন্দা ঝণ্টু দে। প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক।

বাড়িতে তাঁর স্ত্রী বছর ৩২-এর টগরী, বছর সাতেকের ছেলে এবং ৬৫ বছরের মা দীপালি দে।

অভিযোগ, সম্পত্তির জন্য ছেলে এবং ছেলের বউ মিলে বৃহস্পতিবার মাকে বেধড়ক মারধর করেন।

কিল, চড়, ঘুষি কিছুই বাদ যায়নি। তারপর মায়ের চুলের মুঠি ধরে মাথা ঠুকে দেওয়া হয় দেওয়ালে। মাথা ফেটে রক্ত বেরোতে শুরু করে।

কিন্তু, শিক্ষক ছেলের তাতেও কিছু এসে যায়নি।

অভিযোগ, ওই অবস্থাতেই ঘরে মাকে বন্ধ করে রেখে দেন। শেষমেশ, বৃদ্ধ মহিলার কান্না এবং চিৎ‍কার-চেচামেচি শুনে প্রতিবেশীরা বৃদ্ধার মেয়েকে খবর দেন। মেয়ে-জামাই এসে বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে নিয়ে যান সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে।

অভিযোগ, ছেলের দাবি, বাড়িটি হয় তাঁর নামে লিখে দিতে হবে। না হয়, বাড়ি বিক্রি করে টাকা দিতে হবে। মা তাতে রাজি না হওয়ায় দিনের পর দিন ধরে চলেছে অত্যাচার। জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। পরিবার সূত্রে খবর,  বছর খানেক আগে শিক্ষক ছেলেকে বারুইপুর আদালত নির্দেশ দেয়, দেখভালের জন্য প্রতি মাসে মাকে পাঁচ হাজার টাকা করে দিতে হবে।

কিন্তু, অভিযোগ, ছেলে আদালতের সেই নির্দেশ তো মানেননি, উল্টে বয়স্ক মায়ের উপর অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়েছেন।

কখনও গায়ে গরম জল কখনও আবার মেরে মায়ের হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার ছেলে ও ছেলের বউয়ের বিরুদ্ধে বারুইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। শুক্রবার পুত্রবধূকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু, মাকে মারধরে অভিযুক্ত শিক্ষক ছেলে পলাতক।