রঞ্জিত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: একটানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন দক্ষিণ ২৪ পরগার রাজপুর সোনারপুর পুরসভার বহু এলাকা। আজ বেশ কিছু এলাকা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন সোনারপুর দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক লাভলি মৈত্র।
জলের মধ্যে দিয়েই ১৫ ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ড তিনি ঘুরে দেখেন। কথা বলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে। নিকাশি ব্যবস্থা উন্নত করার আশ্বাস দেন তিনি।
বিধায়ক বলেন, অনেক জায়গাতেই জল জমে রয়েছে। এখানে সমস্যা রয়েছে। একতলার ঘর, দোকানের ভিতর জল ঢুকে গেছে। আমি এসেছি। সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছি। দেখেছি, কোথায় কোথায় জল-নিকাশি ব্যবস্থার সমস্যা রয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, দু-তিন দিন ধরেই জল জমে থাকে। একটা প্ল্যান পাশ হয়ে রয়েছে। সেটা নিয়ে চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলব। চেষ্টা করছি, যত দ্রুত সম্ভব এই সমস্যার সমাধান করা। জন-নিকাশি ব্যবস্থা থেকে শুরু করে রাস্তা -- সব ঠিক করার চেষ্টা হবে।
বুধবার রাতভরের বৃষ্টিতে ভেস যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার রাজপুর সোনারপুর পুরসভার বহু এলাকা। কোথাও জল ঢুকে যায় বাড়িতে, কোথাও বহুতলের নীচে জল থইথই অবস্থা হয়ে যায় কোথাও আবার বাধ্য হয়ে রাস্তায় বেরিয়ে জমা জলে বিকল হয়ে পড়ে মোটরবাইক, স্কুটার।
জল যন্ত্রণায় ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা শেষ অবধি রাস্তা অবরোধ করেন। জমা জলের জন্য নিকাশীর অব্যবস্থাকে দায়ী করে গতকাল গড়িয়ার শচীন্দ্রপুরে রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে।
এক বাসিন্দা বলেন, একরাতের বৃষ্টিতেই ডুবে গেল এলাকা। প্রতি বছরই এই অবস্থা হয়। পুর প্রশসানের কোনও হেলদোল নেই। ১৫-২০ বছর ধরে এই ভোগান্তি ভুগতে হচ্ছে।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, স্থানীয় কাউন্সিলরকে বারবার বলেও, কাজ হয়নি। সবার ঘরে জল ঢুকে গেছে। বাচ্চা নিয়ে থাকতে খুব অসুবিধা হচ্ছে। কাউন্সিলরকে জানিয়ে কোনও কাজ হয়নি।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানায় প্রবল বৃষ্টিতে মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম কবিতা মণ্ডল। ৫৫ বছর বয়স। গতকাল দুপুর ৩টে নাগাদ খেতে বসেছিলেন ওই মহিলা। সেই সময় আচমকাই দেওয়াল ধসে পড়ে। গুরুতর আহত ওই মহিলাকে দ্বারিকনগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা।