শান্তনু নস্কর, ক্যানিং (দক্ষিণ ২৪ পরগনা) : নিয়ম ভাঙার শাস্তি হিসেবে কারোর পিঠে পড়ল লাঠি। কাউকে আবার শ্রেফ বুঝিয়ে মাস্ক হাতে দিয়ে করে দেওয়া হল সতর্ক। আবার বেশিরভাগে ভাগ্যে জুটল 'গরম-নরম' দু'রকমই। সোমবার সকালে ক্যানিং বাজারের ঘটনা। সকাল সকালই ক্যানিং থানা ও ক্যানিক ট্রাফিকের পক্ষ থেকে চালানো হয় পুলিশি অভিযান। করোনা বিধি মানা হচ্ছে কি না দেখতে তৎপর হয়ে পুলিশ প্রশাসন নেয় বিশেষ পদক্ষেপ। মাস্ক বিহীন কাউকে রাস্তায় দেখলেই তাঁকে থামিয়ে জানতে চাওয়া হয় করোনা বিধির অবশ্যপালনীয় মাস্ক কেন নেই মুখে। উত্তরে গ্রহণযোগ্য কারণ দিতে অক্ষম বেশ কয়েকজনের পিঠেই পড়ে লাঠির বাড়ি। কাউকে কাউকে করানো হল ওঠ-বোস। অনেককেই আবার সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়। অনেক বাস থামিয়ে বাসযাত্রীদের রাস্তায় নামিয়ে সতর্ক করার পাশাপাশি হাতে মাস্ক তুলে সেটা পরতে বাধ্য করার পরই ফের বাসকে ছাড়া হয় সেই জায়গা থেকে।


এমনিতেই রাজ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব অনেকটাই ফিকে হয়ে গেলেও ক্রমশ বাড়ছে তৃতীয় ঢেউয়ের চোখ রাঙানি। এই অবস্থায় দ্রুত ভ্যাকসিন নেওয়ার পাশাপাশি কোভিড বিধি পালনের ক্ষেত্রে দেওয়া হচ্ছে জোর। বিশেষজ্ঞ মহল থেকে চিকিৎসকরা, সকলেই বলছেন মাস্ক পরা, শারীরিক দূরত্ববিধি বজায় রাখার মতো অবশ্য পালনীয় কোভিড বিধি মেনে চলার কাজ না করলে ফের মারণ ভাইরাসের করাল প্রকোপের মধ্যে পড়তে হতে পারে সকলকে। সেই জায়গা থেকেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও কয়েকদিন আগেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কোভিড বিধি সকলে পালন করছে কি না, সেটা নিশ্চিত করতে। কেউ নিয়ম না পালন করলে সেক্ষেত্রে কড়া হাতে ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও জানানো হয়েছে প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তর থেকে।



আর সেই কারণেই ক্যানিংয়ে সাধারণ মানুষের কোভিড বিধি পালনে তৈরি হওয়া 'অনীহা' দূর করতে রাস্তায় নামে পুলিশ। যে অভিযানের মাঝে দেখা যায়, অনেকেই রাস্তায় পুলিশকে দেখে পকেটে আগলে রাখা মাস্ক বের করে পরে নিচ্ছেন মুখে। করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় বিধি ভঙ্গকারীদের শক্ত হাতে সামলেছিল পুলিশ প্রশাসন। এবারে অবশ্য শক্ত মনোভাবের পাশাপাশি নরম মেজাজে সচেতনতা বাড়ানোর দিকেই আপাতত বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে তাদের পক্ষে।