মুন্না আগরওয়াল, বালুরঘাট (দক্ষিণ দিনাজপুর)- রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে এক্সরে প্লেটের অভাবের অভিযোগ। অভিযোগ, রোগীর আত্মীয়দের একাংশের। আর তার জেরে বহির্বিভাগে রোগীদের এক্স-রে করানো প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে দাবি তাঁদের। রোগীদের বাইরে থেকে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে এক্স-রে করাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, গত প্রায় কয়েকমাস ধরে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে এক্স-রে সমস্যায় নাজেহাল রোগীদের একাংশ ও তাঁদের আত্মীয়রা।


অভিযোগ, হাসপাতালে এক্স-রে করাতে যাওয়া রোগী ও আত্মীয়দের জানানো হচ্ছে এক্স-রে প্লেটের অভাব রয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ঠিক কী অভিযোগ রোগী এবং তাঁদের আত্মীয়দের? পেটে টিউমার অপারেশনের জন্য হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা করাতে আসেন মমতা দাস। চিকিৎসক তাঁকে এক্স-রে করাতে বলেন। আজ শনিবার মমতা দাস হাসপাতালে এক্স-রে করাতে আসেন। তাঁর অভিযোগ, প্রথমে তাঁকে এক্স-রে প্লেটের অভাব রয়েছে বলে জাননো হয়। বলা হয়, এক্স-রে করা যাবে। এরপর ওই মহিলা হাসপাতালের সুপারের দ্বারস্থ হন। হাসপাতাল সুপারের হস্তক্ষেপে তাঁর এক্স-রে করা হয়।


অপর এক রোগীর আত্মীয় সুদর্শন কর্মকার হাসপাতালকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। তাঁর বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাধারণ মানুষের জন্য সরকারি পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু হাসপাতালের ছবিটা তেমন নয়।  হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেই পরিষেবা দিতে টালাবাহানা করছে। হাসপাতালে এই ভূমিকায় সাধারণ মানুষ নাজেহাল হচ্ছেন। এর ফলে, অনেকেই বাইরে থেকে পয়সা খরচ করে এক্স-রে করাতে হচ্ছে।


যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাসপাতাল সুপার।  বালুরঘাট হাসাপাতাল সুপার পার্থসারথি মণ্ডল বলেন এক্সরে প্লেটের সরবরাহে কোনও সমস্যা নেই। তবে বহির্বিভাগের রোগীদের অনেকেই এক্স-রে করলে  পরে মাত্র কয়েকজন রিপোর্ট নিতে আসেন। এতে রোজ প্রচুর এক্সরে প্লেট নষ্ট হয়। ফলে বহির্বিভাগের ক্ষেত্রে গুরুত্ব বুঝে এক্স-রে করানো হচ্ছে। তবে অন্তর্বিভাগে রোগীর এক্স-রে হচ্ছে না এই অভিযোগ অস্বীকার করেন হাসপাতাল সুপার পার্থ সারথি মণ্ডল।