সমীরণ পাল, হাসনাবাদ: উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার হাসনাবাদ থানার মুরারিশাহ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একটি পরিত্যক্ত জায়গা থেকে উদ্ধার বিরল প্রজাতির প্রাণী ও পাখি। উদ্ধার হওয়া প্রাণী ও পাখিগুলির মধ্যে রয়েছে স্লো লরিস, ম্যাকাও, টার্কি। এই প্রাণী ও পাখিগুলিকে বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়। স্লো লরিস, ম্যাকাও, টার্কিগুলিকে আলিপুর চিড়িয়াখানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার রাতে অভিযান চালানো হয়। ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিন্সের বিরল প্রজাতির প্রাণী ও পাখিগুলিকে উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় লোকজনই প্রথমে এই প্রাণী ও পাখিগুলিকে দেখতে পান। তাঁরাই পুলিশে খবর দেন। পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর পর খাঁচার মধ্যে একটি স্লো লরিস, আটটি ম্যাকাও এবং তিনটি টার্কিকে দেখতে পান। এগুলিকে ইন্দোনেশিয়া থেকে ফিলিপিন্স ও বাংলাদেশ হয়ে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে নিয়ে আসা হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান তদন্তকারীদের। আন্তর্জাতিক বাজারে এই প্রাণী ও পাখিগুলির দর কয়েক লক্ষ টাকা। এই ঘটনার পিছনে আন্তর্জাতিক পাচারচক্র রয়েছে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। আজ সকালে এই প্রাণী ও পাখিগুলিকে বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে হাসনাবাদের এসডিপিও দেবরাজ ঘোষ জানিয়েছেন, ‘এগুলি বাংলাদেশ হয়ে এদেশে ঢুকেছে। কলকাতায় নিয়ে যাওয়াই পাচারকারীদের লক্ষ্য ছিল। যেহেতু লকডাউন চলছে, গণ পরিবহন বন্ধ, সেই কারণে এই প্রাণীগুলিকে নিয়ে যেতে পারেনি পাচারকারীরাষ তারা প্রাণীগুলিকে ফেলে রেখে পালিয়েছে। এই পাচারকারীদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক পাচারকারীরা যুক্ত আছে কি না পুলিশ খতিয়ে দেখছে। ইতিমধ্যেই একটি মামলা রুজু করা হয়েছে হাসনাবাদ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে।’
তদন্তকারীরা আরও জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক পাচারকারীরা এর আগেও একাধিকবার বাংলাদেশ থেকে এরাজ্যের মাধ্যে বিরল প্রাণী পাচারের চেষ্টা করেছে। করোনা আবহেও পাচারকারীদের আনাগোনা অব্যাহত। চোরাচালান বন্ধ করার জন্য সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো দরকার। না হলে এই ধরনের ঘটনা আটকানো যাবে না।