সোমনাথ মিত্র, সিঙ্গুর: জওয়াদের (Jawad) প্রভাবে রাতভর হুগলি জেলায় ভারী বৃষ্টি। সিঙ্গুর (Singur), হরিপাল (Haripal), তারকেশ্বর (Takeswar), ধনেখালি (Dhanekhali)-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় কৃষি জমিতে (Agricultural Land) জল জমেছে। মাথায় হাত চাষিদের (Farmers)। অবিরাম বৃষ্টিতে কপি, বেগুন, টোম্যাটো, লঙ্কা, পেঁয়াজ, শাক খেত জলমগ্ন। আলু খেতেও জল।


ঘূর্ণিঝড় ‘জওয়াদ’-এর প্রভাব নিয়ে আগে থেকেই সতর্ক করা হয়েছিল কৃষকদের। কিন্তু সেই সতর্কবার্তা সত্ত্বেও, পুরোপুরি ঠেকানো গেল না চাষে ক্ষতি,বলছে হুগলির কৃষকরা। কৃষকদের (Farmers) দাবি, সদ্য বসানো আলুর বীজ নষ্ট হয়েছে। অন্যদিকে, জমিতে জল দাঁড়িয়ে যাওয়ায়, মাটি শুকিয়ে আলু বসাতে দেরি হবে। ততদিনে আলু চাষের সময় পেরিয়ে যাবে বলে কৃষকদের দাবি। এর ফলে আগামী বছর আলুর ফলন কমবে বলে আশঙ্কা। তবে এই পরিস্থিতিত শুধু হুগলিতেই নয়। একই পরিস্থিতি পশ্চিম মেদিনীপুরেও (West Midnapore)।  এ জেলার গড়বেতা, চন্দ্রকোণা রোড (Chandrakona), ঘাটাল (Ghatal), শালবনি-সহ (Shalboni) বিস্তীর্ণ এলাকায় ধান, আলুর পাশাপাশি সবজির চাষ হয়। এই সময়ই ধান কাটা হয়। তারই মধ্যে বৃষ্টি। ধান কাটতে না পারার যার জেরে কাটার পরও মাঠেই ভিজছে। ধান তোলার পরই চাষ হয় আলুর। অনেকেরই সেই জমি তৈরি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টির জেরে সব পণ্ড। আর এই পরিস্থিতিতে আশঙ্কায় চাষিরা। বৃষ্টি থামার অপেক্ষায় কৃষকরা।


এদিকে ঘূর্ণিঝড় জওয়াদ এখন নিম্নচাপ (Depression)। তবে তার প্রভাবে আজ দক্ষিণবঙ্গজুড়ে (South Bengal) বৃষ্টি। নিম্নচাপের অভিমুখ উত্তর ও উত্তর-পূর্বমুখী হওয়ায় সোমবার বাংলাদেশ (Bangladesh) লাগোয়া তিন জেলা নদিয়া, মুর্শিদাবাদ ও উত্তর ২৪ পরগনায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। হালকা থেকে মাঝারি বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের(West Bengal) অন্য জেলাগুলিতেও। কলকাতায় আজ বিকেলের পর থেকে বৃষ্টি কমবে। কাল থেকে দক্ষিণবঙ্গে আবহাওয়ার উন্নতি। 


আরও পড়ুন: Weather Update: নিম্নচাপ জওয়াদের জেরে জেলায় জেলায় তুমুল বৃষ্টি, দুর্যোগ আরও বাড়বে?