কলকাতা: আগামীকাল জামাইষষ্ঠী। এই উপলক্ষ্যে আগামীকাল কর্মচারীদের জন্য ছুটি ঘোষণা করল রাজ্য সরকার।অর্থ দফতরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, রাজ্য সরকারের সব দফতরে পূর্ণদিবস ছুটি থাকবে জামাই ষষ্ঠী উপলক্ষ্যে। রাজ্য সরকারের সমস্ত বিভাগ ও অধীনস্থ সংস্থাগুলিতে জামাইষষ্ঠী উপলক্ষ্যে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ রুখতে রাজ্যে বহাল রয়েছে বিধিনিষেধ। গতকাল কিছু শিথিলতা সহ ওই বিধিনিষেধের মেয়াদ ৩০ জুন পর্যন্ত পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এই শিথিলতার মধ্যে ২৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি অফিসের কাজ হবে বলে জানানো হয়েছে। এরইমধ্যে আগামীকাল জামাইষষ্ঠী। এই জামাইষষ্ঠী উপলক্ষ্যে রাজ্য সরকার আগামীকাল পূর্ণ দিবস ছুটি ঘোষণা করল।ফলে আগামী ১৭ জুন থেকে রাজ্য সরকারি অফিসগুলিতে ২৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ শুরু হবে।
এর আগেও কয়েকবার জামাইষষ্ঠীতে অর্ধ দিবস ছুটির ঘোষণা করা হয়েছিল। দুপুর দুটোর পর রাজ্য সরকারের সমস্ত কর্মীদের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। তারপর অর্ধ দিবসের বদলে পূর্ণ দিবস ছুটি দেওয়া হয়। এবারও পূর্ণ দিবস ছুটির ঘোষণা করা হল।
বর্তমানে জারি থাকা কার্যত লকডাউনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল আজ। তার আগে গতকাল নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, রাজ্যে করোনার বিধি-নিষেধ কিছুটা শিথিল করলেও ৩০ জুন পর্যন্ত বহাল থাকছে নিষেধাজ্ঞা।
গতকাল সোমবারই এনিয়ে নতুন একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করে রাজ্য সরকার। যা কার্যকর হবে ১৬ জুন অর্থাৎ, বুধবার থেকে। আগের নিয়মেই আপাতত বন্ধ থাকছে স্পা, জিম। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত রাস্তায় বেরনো যাবে না। বন্ধ থাকছে বাস, লোকাল ট্রেন ও মেট্রো পরিষেবাও। তবে, ট্রেন-বাস-নেট্রো বন্ধ থাকলেও, ৩০ জুন সন্ধে ৬টা পর্যন্ত বিধিনিষেধে একগুচ্ছ ছাড় ঘোষণা করেছে সরকার।
জানানো হয়-
২৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি অফিস চালু হবে।
সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত খোলা যাবে বেসরকারি সংস্থা।
সকাল ৭টা থেকে ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বাজার ও দোকান।
অন্যান্য দোকান খোলা থাকবে সকাল ১১টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত।
বেলা ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত, রেস্তোরাঁ, বার ও হোটেল খোলার অনুমতি দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।
এ ছাড়া সকাল ১১টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত শপিং মল খোলা থাকবে। তবে একসঙ্গে ৩০%-র বেশি ক্রেতা মলে থাকতে পারবেন না।
সিনেমা-সিরিয়ালের কথা মাথায় রেখে প্রতি ইউনিটে সর্বোচ্চ ৫০ জন অভিনেতা-কর্মী নিয়ে শ্যুটিংয়ে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
ছাড় মিলেছে দর্শক শূন্য স্টেডিয়ামে খেলাধুলোর।