মলয় চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি: রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের অভিযানে শিলিগুড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা ও হেরোইন। অন্যদিকে, ফুলবাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ভিন রাজ্যের দুই যুবককে। ধৃতদের সঙ্গে এটিএম জালিয়াতি চক্রের যোগ রয়েছে বলে সন্দেহ পুলিশের।


চলতি মাসের শেষেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা হতে পারে। তার আগে রাজ্য সফরে এসে কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা। তিনি বলেছিলেন, হিংসামুক্ত ভোট করানোর জন্য কমিশন সব রকম চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত ৷

এরপরই তৎপর হল পুলিশ। শিলিগুড়ির ইস্কন মন্দির রোড এবং শিলিগুড়ি সংলগ্ন ফুলবাড়িতে অভিযান চালায় রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। উদ্ধার হয়েছে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা। এবং লক্ষাধিক টাকার হেরোইন। উদ্ধার হয়েছে একটি গাড়িও। এসটিএফ সূত্রে খবর, সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে তল্লাশি চালিয়ে মাদক কারবারের হদিশ মেলে। সেই সূত্র ধরে জানা যায়, ইস্কন মন্দির রোডে মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা ৩ যুবক বাড়ি ভাড়া নিয়ে মাদকের কারবার চালাচ্ছে। এরপরই সেখানে তল্লাশি চালানো হয়। উদ্ধার হয়েছে ১৭ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা। অভিযুক্ত তিন যুবক পলাতক।

অন্যদিকে, ফুলবাড়ি থেকে হরিয়ানা ও দিল্লির বাসিন্দা দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের থেকে লক্ষাধিক টাকা উদ্ধার হয়েছে। এছাড়াও উদ্ধার হয়েছে ৫৪টি এটিএম কার্ড। ধৃতদের সঙ্গে আন্তঃরাজ্য এটিএম জালিয়াতি চক্রের যোগ আছে বলে সন্দেহ পুলিশের।

বাংলায় হিংসামুক্ত ভোট করাতে সবরকম চ্যালেঞ্জ নিতে তারা যে তৈরি তা স্পষ্ট করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ শুধুমাত্র রাজ্য পুলিশের হাতেই থাকবে না। এটা স্পষ্ট করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে যৌথ সমন্বয়ের ভাবনা রয়েছে। ভোটের সময় রাজ্য পুলিশের একাংশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ওঠে। এই প্রেক্ষিতে একুশের ভোটে অন্য পথে হাঁটছে নির্বাচন কমিশন।

বুথ চত্বর এবং বুথের বাইরে রাজ্য পুলিশের পোস্টিংয়ের ক্ষেত্রে নেওয়া হচ্ছে অন্য ব্যবস্থা। সংশ্লিষ্ট পুলিশকর্মী যে এলাকার ভোটার এবং যেখানে তাঁর কর্মস্থলে সেখানে ভোটের ডিউটি পাবেন না। পোলিং অফিসার ও প্রিসাইডিং অফিসারের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে এই মডেলেই ভোট হয়। ভোটের সময় পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে পক্ষপাতের অভিযোগ। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, পরিচিত এলাকায় পোস্টিং থাকলে যে বোঝাপড়া তৈরি হয় তা ভাঙতে চাইছে কমিশন। এরই মধ্যে অপরাধ দমনে সক্রিয় হল রাজ্য পুলিশ।