দুপুরেই শহরে ঘনিয়ে এল অন্ধকার। তীব্র ঝোড়ো হাওয়া থামতে না থামতে নামে বৃষ্টি। প্রবল বৃষ্টিতে একবালপুর থানা এলাকার ভূকৈলাস রোডে এক নির্মীয়মাণ বহুতলের একাংশ ভেঙে পড়ে। আহত হন দু’জন। তপসিয়ার সাউথ ট্যাংরা রোডে একটি নির্মীয়মাণ বহুতলের লোহার কাঠামো ভেঙে আহত হয়েছেন দু’জন। সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে গাছ ভেঙে পড়ে বেশ কয়েকটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
একই ছবি জেলাগুলিতেও। দুপুরে দেড়টা নাগাদ ঝড় শুরু হয় জলপাইগুড়ি জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায়। হতাহতের কোনও খবর না থাকলেও, ভেঙে পড়ে বেশ কয়েকটি গাছ। তার ছিঁড়ে যাওয়ার জলপাইগুড়ি শহরের বিস্তীর্ণ অংশে দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুত ছিল না। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে মালদাও। ঝড়ের দাপটে গাছ থেকে ঝড়ে পড়েছে প্রচুর আম। চিন্তায় চাষিরা। বেলা পৌনে বারোটা নাগাদ ঝড় ওঠে মুর্শিদাবাদে। ঝড়ের পর ঘণ্টা খানেক চলে বৃষ্টি। ঝড়ে বীরভূমের সিউড়িতে গাছ ভেঙে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ঝড়ে বেশ কয়েকটি জায়গায় গাছ ভেঙে পড়ে হুগলিতেও। হিন্দমোটর ও উত্তরপাড়া স্টেশনের মাঝে ওভারহেড তারে গাছ পড়ে ব্যাহত হয় ট্রেন চলাচল। হাওড়ার ফোরসোর রোডে একটি বাড়ির দেওয়াল ভেঙে দুই মহিলা আহত হন। শালিমার তিন নম্বর গেটের কাছে বেসরকারি বাসের ওপর আমগাছ ভেঙে পড়ে। কেউ হতাহত হয়নি। বারাসাতের হেলাবটতলায় লরির ওপর ভেঙে পড়ে গাছ। হতাহতর খবর নেই।