ডায়মন্ড হারবার: ছাত্রকে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় ডায়মণ্ডহারবারের পশ্চিমপাড়া। এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। প্রতিবাদে মূল অভিযুক্তের পাশের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় ক্ষিপ্ত জনতা। বেশ কিছু বাড়িতে ভাঙচুর চালায় বিক্ষোভকারীরা। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী।



চোর সন্দেহে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজারের বাসিন্দা কলেজ ছাত্র কৌশিক পুরকায়স্থকে পিটিয়ে খুন করা হয়। এই ঘটনায় এক মহিলা-সহ চারজনকে গ্রেফতার করা হলেও এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য তাপস মল্লিক। ঘটনার পর কেটে গিয়েছে দেড়দিন।
যার জেরে এদিন রণক্ষেত্রর চেহারা নেয় ডায়মন্ড হারবার। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে এবং মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে একাধিক বাড়িতে ভাঙচুর, আগুন লাগিয়ে দেয় ক্ষিপ্ত জনতা।



মৃতের পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের অবিযোগ, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা বলেই তাঁকে গ্রেফতার করছে না পুলিশ। এই প্রেক্ষিতে আজ সকালে কলকাতা থেকে কলেজ ছাত্র কৌশিক পুরকায়স্থর দেহ ডায়মন্ডহারবারের বাহাদুরপুরে পৌঁছতেই রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা।

মূল অভিযুক্ত হরিণডাঙা পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান তাপস মল্লিক সহ অন্যান্য অভিযুক্তদের বাড়িতে শুরু হয় ভাঙচুর। মূল অভিযুক্তকে না পেয়ে পাশের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় ক্ষিপ্ত জনতা। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী।
প্রসঙ্গত, কৌশিক সোমবার বন্ধুদের সঙ্গে ডায়মণ্ডহারবারে মাসির বাড়ি বেড়াতে যান। ওই দিন এলাকায় একটি চুরি হয়। রাতে কৌশিক বাড়ি থেকে বেরোলে, তাঁকেই চোর সন্দেহে স্থানীয় ক্লাবে নিয়ে গিয়ে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য তাপস মল্লিকের নেতৃত্বে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরে হাসপাতালে ওই কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়।



এই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সিপিএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, শাসকের চাপ ছাড়া এ হয় না। মেরুদণ্ড সোজা রাখুক পুলিশ। ভোটের ফল যাই হোক, সমাজবিরোধীদের বিরুদ্ধে চাই একজোট প্রতিরোধ।
অন্যদিকে, এই ঘটনায় বাকি ধৃতদের ১৩ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ডায়মন্ড হারবার এসিজিএম আদালত।