কলকাতা: ছাত্র খুন হয়েছে। প্রধান অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়েছে। সিআইডি তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এতকিছুর পরও ডায়মন্ডহারবারে ছাত্রকে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা তাপস মল্লিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া তো দূর, প্রকাশ্যে ভৎসনাও করছে না তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব! এখনও না কি তারা রিপোর্টের অপেক্ষায়! তাও আবার দলের জেলা নেতৃত্বের!
গত সোমবার রাতে, ডায়মন্ডহারবারের বাহাদুরপুরে মোষ চুরির অভিযোগে পিটিয়ে খুন করা হয় কৌশিক পুরকায়স্থ নামে এক ছাত্রকে। ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত তৃণমূলের নেতা, স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য তাপস মল্লিক। তাঁকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, এ হেন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধেও এখনই যে দল কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না, তা শুক্রবার বুঝিয়ে দিলেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাপস মল্লিকের বিরুদ্ধে দল কী ব্যবস্থা নিচ্ছে? এদিন পার্থবাবুকে এই প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, জেলা থেকে রিপোর্ট পাই। তা না পাওয়া পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করব না।




যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিরোধীরা। তাদের দাবি, আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল, বিহারের শাসক দল যা পারে, তা বাংলার শাসক দল পারে না। সম্প্রতি, গয়ায় জেডিইউ বিধায়কের ছেলের বিরুদ্ধে গুলি করে এক কিশোরকে খুন করার অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই ওই বিধায়ককে সাসপেন্ড করে দেয় নীতীশ কুমারের জেডিইউ। অভিযুক্তের বাহুবলী বাবা একদা ক্ষমতাসীন আরজেডির সক্রিয় নেতা হলেও, তাঁকেও জেলে পুরতে দেরি করেনি লালু-নীতীশের সরকার! এমনকি, তল্লাশিতে দলীয় বিধায়কের বাড়িতে মদের বোতল উদ্ধার হওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতেও দ্বিধা করেনি নীতিশ কুমারের সরকার! কিন্তু,  ডায়মন্ডহারবারকাণ্ডে প্রধান অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এখনও নারাজ তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। কটাক্ষের সুরে বিরোধীদের বক্তব্য, সামান্য পঞ্চায়েত সদস্যর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই যদি হাত কাঁপে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের, তাহলে সারদা-নারদার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যে কিছুই হবে না, তা তো বলাই বাহুল্য!