মুন্না আগরওয়াল, বালুরঘাট: করোনা পরিস্থিতিতে ফি মকুবের দাবিতে ছাত্র বিক্ষোভ বালুরঘাট কলেজে। মঙ্গলবার কলেজ গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখান তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়ার। জোর করে অধ্যক্ষের ঘরে ঢুকতে গেলে তৈরি হয় উত্তেজনা। অধ্যেক্ষর আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।


অবিলম্বে মকুব করতে হবে কলেজ ফি। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট কলেজে সরব তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়ারা। করোনা কাজ হারিয়েছেন অনেকে। বহু বাড়িতে আর্থিক অনটন। এই অবস্থায় যখন শুধু অনলাইন ক্লাস হচ্ছে, তখন কেন মকুব করা হবে না কলেজ ফি? এই প্রশ্ন তুলে মঙ্গলবার সকালে কলেজ গেটের সামনে শুরু হয় ছাত্র-বিক্ষোভ।


ওই কলেজের ছাত্রী সুস্মিতা চাকি বলেন, কলেজ বন্ধ। প্র্যাকটিকাল হচ্ছে না। তা হলে, সেই সমস্ত খরচা কেন নেওয়া হবে। করেনা আবহে বহু পরিবার কাজ হারিয়েছে। আমাদের দাবি সমস্ত ফি মকুব করা হোক। বালুরঘাট কলেজেরই আরেক ছাত্রের কথায়, করোনা আবহে অনেক পরিবার কাজ হারিয়েছে। কলেজে অফলাইনে পড়াশোনা বন্ধ। ফি মকুবের দাবি করছি আমরা।


এদিন বিক্ষোভরত পড়ুয়ারা অধ্যক্ষের ঘরে ঢুকতে গেলে উত্তেজনা ছড়ায়। ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যান অধ্যক্ষ। পরে তিনি দুঃস্থ পড়ুয়াদের সাহায্যের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। কলেজের অধ্যক্ষ পঙ্কজকুমার কুণ্ডু, করোনা আবহে সকলে একসঙ্গে ঘরে ঢুকতে চাওয়ায় ওদের বক্তব্য শোনা হয়নি। দুজন প্রতিনিধি নিয়ে দেখা করতে বলেছি। ফি জমা বন্ধ করা যাবে না। যারা দিতে পারছে না সমস্যার কথা জানিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলুক। লকডাউনে আগেও ফি মকুবের দাবিতে, সরব হন পড়ুয়ারা। তখনও দুঃস্থ পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়িয়েছিল কলেজ।


উল্লেখ্য, এক লাফে আটগুণ ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে গত ৩০ জুন বিক্ষোভ দেখান বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ও গবেষকদের। উপাচার্যর অফিসের সামনে বিক্ষোভের জেরে উত্তেজনা ছড়ায় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। তাদের দাবি,  বিশ্বভারতী পিএচডি ও এমফিলের টাকা হঠাৎ বাড়িয়ে ১৪০০ টাকা ও ১১০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে৷