আশাবুল হোসেন ও দীপক ঘোষ, কলকাতা:  করোনা আবহে এবারও ভার্চুয়াল মাধ্যমেই ২১ জুলাইয়ে শহিদ দিবস পালন করবে তৃণমূল। তবে এবারই প্রথম সর্বভারতীয় স্তরে বার্তা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রীর বক্তৃতা শোনানো হবে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত-সহ একাধিক রাজ্যে।


আজ ২১শে জুলাই। শহিদ দিবসের ২৮ বছরে পা। প্রতিবার এই দিনটিকে শহিদ দিবস পালনের পাশাপাশি দলের আগামীদিনের নীতি নির্ধারণ ঘোষণার দিন হিসেবে পালন করে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে এবারের ২১শে জুলাই অন্যান্যবারের থেকে কিছুটা আলাদা। কারণ, করোনা আবহে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর এটাই প্রথম শহিদ দিবস পালন।


অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর এবারই প্রথম জাতীয় স্তরে দিনটি পালন করছে রাজ্যের শাসকদল। বুধবার দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবের পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতা শোনা যাবে গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, অসম, ত্রিপুরা, তামিলনাড়ু, ঝাড়খণ্ড ও মণিপুরের মতো রাজ্যেও। বাংলার পাশাপাশি হিন্দিতেও বক্তৃতা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভাষণের গুরুত্বপূর্ণ অংশ অন্যান্য ভাষায় সাব টাইটেলের ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে।


বুধবার বেলা ১২টায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে একটি অনুষ্ঠানে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হবে। সেখানে থাকবেন সুব্রত বক্সী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো সিনিয়র নেতারা। দুপুর ১টায় কালীঘাটের বাড়ি থেকে ভার্চুয়াল বক্তৃতা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতায় ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে এবং রাজ্যের প্রতিটি বুথে জায়ান্ট স্ক্রিনে শোনানো হবে তৃণমূল নেত্রীর বার্তা।


জাতীয় স্তরে তৃমমূল শীর্ষ নেতৃত্ব দলকে মেলে ধরতে চায়। ঠিক তখনই ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে ২১ জুলাই পালন রাজনৈতিক দিক থেকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। তৃণমূলের ২১শে জুলাইয়ের কর্মসূচিকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য রাহুল সিনহার বলেন, বাইরের রাজ্যে কোথাও কোনও লোক নেই। উল্লেখ্য, সংসদের অধিবেশন চলাকালীন আগামী ২৫ জুলাই দিল্লি যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে ২১ জুলাই তৃণমূল নেত্রী কী বার্তা দেন, এখন সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।