কোচবিহার ও নদিয়া: টিভিতে খবরটা দেখেই সোমবার চমকে উঠেছিলেন পরিবারের সদস্যরা। অজানা আশঙ্কায় কেঁপে উঠেছিলেন সবাই। আশঙ্কা সত্যি হতে সময় লাগেনি। হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এসেছিল প্রিয়জনের মৃত্যু-সংবাদ।
ছত্তিসগড়ের সুকমার জঙ্গলে ভয়াবহ মাওবাদী হামলায় নিহত ২৫ জন সিআরপিএফ জওয়ানের মধ্যে তিনজন এরাজ্যের বাসিন্দা। কোচবিহারের বিবেকানন্দ স্ট্রিটের বাসিন্দা কৃষ্ণকুমার দাস, কোচবিহারেরই ১৮ তলার বাসিন্দা বিনয়চন্দ্র বর্মন এবং নদিয়ার করিমপুরের বাসিন্দা অরূপ কর্মকার।
২০১১ সালে সিআরপিএফে যোগ দেন কোচবিহারের কৃষ্ণকুমার দাস। গত ফেব্রুয়ারি মাসেই বিয়ে করেন। পরিবারের দাবি, বাড়ি থেকে কর্মক্ষেত্রে ফেরার সময় বলে গিয়েছিলেন, পরের বার এলে স্ত্রী-কে নিয়ে বেড়াতে যাবেন। কথা রাখতে পারলে না কৃষ্ণকুমার। মাও হামলায় অকালে চলে গেলেন ২৫ বছরের জওয়ান।
একই ছবি বিনয়চন্দ্র বর্মনের কোচবিহারের বাড়িতে। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য ছিলেন বিনয়। সদ্য স্বামীকে হারিয়ে দেড় বছরের শিশুপুত্রকে নিয়ে অথৈ জলে স্ত্রী।
কোচবিহারের কৃষ্ণকুমার আর বিনয়ের সঙ্গে অকালে চলে গিয়েছেন নদিয়ার করিমপুরের অরূপ কর্মকার। ২০১৪ সালের অক্টোবরে সিআরপিএফ-এ যোগ দেন অরূপ। প্রশিক্ষণের পর প্রথম পোস্টিং ছিল ছত্তিসগঢ়েই।
মঙ্গলবার রায়পুর থেকে বিমানে নিহত জওয়ানদের দেহ নিয়ে আসা হয়। রাতে তা পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।