সমিত সেনগুপ্ত ও শান্তনু নস্কর, সুন্দরবন: বাঘ সংরক্ষণে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ করার জন্য গ্লোবাল কনজার্ভেশন অ্য়াসিওর্ড  টাইগার স্ট্যান্ডার্ডস এর শিরোপা পেল সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প। এছাড়াও ভারতে আরও ১৩ টি টাইগার রিজার্ভ গ্লোবাল কনজার্ভেশন অ্য়াসিওর্ড টাইগার স্ট্যান্ডার্ডস (সিএ | টিএস) এর স্বীকৃতি পেয়েছে। 


পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প ছাড়াও অসমের মনস, কাজিরাঙা এবং ওরাঙ, মধ্যপ্রদেশের সাতপুরা, কানহা ও পান্না, মহারাষ্ট্রের পঞ্চ, বিহারের বাল্মিকি টাইগার রিজার্ভ, উত্তর প্রদেশের দুধওয়া, কেরলের পারম্বিকুলাম, কর্ণাটকের বন্দিপুর টাইগার রিজার্ভ এবং তামিলনাড়ুতে মুদুমালাই এবং আনামালাই টাইগার রিজার্ভ পেয়েছে এই স্বীকৃতি। গোটা পৃথিবীর মধ্যে ভারতই এখন সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বাঘের বাস। উল্লেখ্য, টাইগার স্ট্যান্ডার্ডস (সিএ | টিএস)  আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১৩ সালে চালু হয়েছে। এর লক্ষ্য বাঘ  সংরক্ষণের   জন্য ন্যূনতম মান নির্ধারণ করা। একইসঙ্গে বাঘ  সংরক্ষণের ক্ষেত্রে এই মানগুলির মূল্যায়নকে উৎসাহ দেওয়া।


আজ, বিশ্ব ব্যাঘ্র দিবস পালিত হল সুন্দরবনে। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সজনেখালিতে এই বিশ্ব ব্যাঘ্র দিবস পালিত হয়। প্রতিবছর সুন্দরবনের পর্যটন থেকে যা রোজগার হয় তার ৪০ শতাংশ টাকা যৌথ বন পরিচালন কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হয় বন দফতরের তরফ থেকে। এবারও তার অন্যথা হয়নি। এদিন মোট ২৬টি যৌথ বন পরিচালন কমিটির হাতে ৪ লক্ষ ৮২ জাহার ৭৫২ টাকা তুলে দেওয়া হয়। এই টাকা দিয়ে এলাকার উন্নয়নের কাজ করবে যৌথ বন পরিচালন কমিটি। বিশ্ব ব্যাঘ্র দিবসে বিভিন্ন প্রজাতির বাঘ রক্ষা করার বার্তাই এদিন দেওয়া হয়। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ফিল্ড ডিরেক্টর তাপস দাস, অতিরিক্ত ফিল্ড ডিরেক্টার সৌমেন মণ্ডল সহ অন্যান্য বন আধিকারিকরা।


উল্লেখ্য, ২০১০ সালে সেন্ট পিটার্সবার্গে অনুষ্ঠিত এই দিন পালনের সূচনা হয়। রাশিয়ায় সেন্ট পিটার্সবার্গ টাইগার সামিটে প্রথম বাঘ দিবস পালিত হয়। এই অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য ছিল সারা বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন প্রজাতির বাঘের জন্য বাসস্থান রক্ষা করা। ওই সামিটে অংশ নিয়েছিল ভারতও।