বাঁকুড়া: অশরীরী আতঙ্কে থরহরি কম্পমান বাঁকুড়ার কোতুলপুরের স্কুলের ছাত্রীরা। অকূস্থলে গিয়ে রহস্যভেদ করল এবিপি আনন্দ।।


বাঁকুড়ার ওই স্কুলের ছাত্রীদের দাবি, শৌচাগারে ঢুকলে কিছু না কিছু তাদের চোখে পড়ছেই! আর তা দেখার পরই, অবশ হয়ে যাচ্ছে হাত-পা! কোনওমতে সেখান থেকে বেরোলেই কেউ অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে...কেউ আবার কাতরাচ্ছে যন্ত্রণায়!

কিন্তু এই অশরীরী-আতঙ্কের নেপথ্যে কী? আদৌ কি শৌচাগারের মধ্যে এমন কিছু রয়েছে, যার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়ছে ছাত্রীরা? রহস্যভেদে সোমবার মির্জাপুর হাইস্কুলে পৌঁছয় এবিপি আনন্দ....

এদিনও দেখা যায় আতঙ্কের সেই ছবি! শৌচাগার থেকে বেরোনোর পরই অসুস্থ বোধ করে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী দীপা মল্লিক!

যে শৌচাগার ঘিরে স্কুলে ‘হিস্টিরিয়া’র মতো আতঙ্ক ছড়াচ্ছে সেখানে তো কিছুই দেখতে পাওয়া গেল না! তাহলে কেন অসুস্থ হচ্ছে ছাত্রীরা? ধোঁয়াশা খোলসা করলেন ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে স্কুলে আসা চিকিৎসকরা।

যেহেতু আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তাই প্যানিক অ্যাটাক হচ্ছে। বাস্তবে কিছু নেই। কিন্তু রটনা পাহাড়প্রমাণ! এলাকার মানুষের মুখে মুখে ঘুরছে স্কুল ঘিরে আতঙ্কের কথা! যার জেরে কমছে হাজিরা! পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, ভয়ের পরিবেশ কাটাতে সোমবার স্কুলে যেতে হয় বিডিওকেও।

পুলিশ-প্রশাসনের কর্তাদের পাশাপাশি, এদিন স্কুলে যান যুক্তিবাদী ও বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যরা। শিক্ষক ও ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। স্কুলে মাইক বেঁধে চলছে সতেচনতা তৈরির কাজও।