কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের সন্দেহে স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মেমারির সমেশপুর এলাকায়। জানা গিয়েছে, স্ত্রীর গলার নলি কেটে খুনের পর নিজেও গলায় ধারলো অস্ত্রের কোপ মেরে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন ব্যক্তি। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্ধমান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 


জানা গিয়েছে, মৃতার নাম সেরিনা বিবি ৩২। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে খবর, ১২ বছর আগে মেমারীর কাশিয়ারার বাসিন্দা সেরিনা বিবির সঙ্গে বিয়ে হয় বিহারের সাদ্দাম খান ওরফে জুম্মানের। তাঁদের একটি পুত্র ও কন্যা সন্তানও রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই তাঁরা মেমারির সমেশপুর এলাকায় একটি  বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। 


সেরিনা সোমেশপুর এলাকারই কয়েকটি বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন। গত কয়েক বছর ধরে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়। চলতে থাকে অশান্তি। বিষয়টি বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা পর্যন্তও পৌঁছে গিয়েছে। এর মাঝেও বাড়িতে আসা যাওয়া করত সাদ্দাম। বৃহস্পতিবার দুপুরেও সেরিনার বাড়িতে আসে সে। সন্ধে নাগাদ নতুন করে অশান্তি শুরু হয়। অভিযোগ সেই সময়েই ধারালো অস্ত্র দিয়ে সেরিনাকে আঘাত করে, গলার নলি কেটে খুন করে সাদ্দাম।


সেরিনার মৃত্যু নিশ্চিত হতেই সেও নিজের ঘাড়ে ধারালো অস্ত্রের কোপ মেরে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে মেমারি থানার পুলিশ উদ্ধার করে প্রথমে মেমারি ও পরে বর্ধমান হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়।  পুলিশের প্রাথমিক অনুমান স্ত্রীকে অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্ক আছে বলে সন্দেহ করত সাদ্দাম, আর তার জেরেই এই সিদ্ধান্ত। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।


সম্প্রতি হুগলিতেও এমনই একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে প্রেমিকার সাত বছরের শিশুকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে এক যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির মগরা থানা এলাকার বাঁশবেড়িয়ায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে শিশুর মায়ের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্প্রতি দু’জনকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে শিশুটি। ঘটনায় শিশুর মাকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল।


অন্যদিকে দিন কয়েক আগেই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে স্ত্রীকে খুন করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে এক স্বামী। এই ঘটনাটি ঘটেছিল চিত্‍পুরে। অভিযোগ বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের সন্দেহে ওই ব্যক্তি স্ত্রীকে খুন করে। এর পর চিত্‍পুর থানায় গিয়ে নিজেই আত্মসমর্পণ করে অভিযুক্ত স্বামীর। শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।