বিটন চক্রবর্তী, তমলুক:  গত ১৯ শে জুলাই তমলুকে বিজেপির বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সুপারকে হুমকি, বিপর্যয় মোকাবিলা আইন ভেঙে জমায়েত ছাড়াও একাধিক অভিযোগে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও একাধিক বিজেপি নেতা- কর্মীদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রনোদিত মামলা করেছিল পুলিশ। সেই মামলায় এবার বিজেপি নেতা কর্মীদের থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলো তমলুক থানার পুলিশ। এদিন তমলুক থানায় সেই নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে যান বিজেপি তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি নবারুণ নায়েক, সহ- সভাপতি তথা সেদিনের বিক্ষোভ সমাবেশের অন্যতম উদ্যোক্তা আশীষ মন্ডল সহ বেশ কয়েকজন নেতা -কর্মী।


উল্লেখ্য, তমলুক থানায় শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি নেতা-কর্মীদের   বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছিল  পুলিশ। 'কথা না শুনলে বারমুলা, অনন্তনাগে বদলি', এমনই হুমকি শুভেন্দু দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ।  জেলা পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে  বিজেপির পক্ষ থেকে একটি বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে বিজেপির ইস্যু ছিল, ভোট পরবর্তী হিংসা এবং বিজেপি কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো। এই ইস্যুগুলি নিয়েই বিক্ষোভ এবং ডেপুটেশনের কর্মসূচি নেয় বিজেপি। জেলার অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে সেখানে শুভেন্দু অধিকারীও উপস্থিত ছিলেন। মূলত তাঁর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা করা হয়। জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, শুভেন্দু অধিকারী জেলা পুলিশ সুপারকেও আক্রমণ করেছেন। অন্যান্য পুলিশ কর্মীদেরও আক্রমণ করেছেন। বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।


উল্লেখ্য, কল রেকর্ড রাখা আছে বলে প্রকাশ্য সভায়  বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী হুমকি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। যা পেগাসাস ফোন হ্যাকিংকাণ্ডে বিরোধীদের হাতে নতুন অস্ত্র তুলে দিয়েছিল। বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে পুলিশ। যদিও, তাতে গুরুত্ব দিতে রাজি হননি শুভেন্দু। ইজরায়েলি স্পাইওয়্যার ‘পেগাগাস’ ব্যবহার করে বিরোধী নেতা, ভোট কুশলী থেকে শুরু করে বিচারপতি, ইনটেলিজেন্স এজেন্সির কর্তাব্যক্তি থেকে শুরু করে সাংবাদিক, এমনকি মহামারী বিশেষজ্ঞের ফোন হ্যাক করা কিংবা হ্যাকের সম্ভাব্য তালিকায় রাখার অভিযোগ উঠেছে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে। ঠিক তখনই তমলুকের একটি সভা থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পুলিশ কর্তাদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিতে গিয়ে করা একটি মন্তব্য, বিরোধীদের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে।