মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্ডাল:পশ্চিম বর্ধমানের অন্ডালে প্রাণী দফতরের ঘুম পাড়ানি গুলিতে ষাঁড়ের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে বিতর্ক।  স্থানীয় সূত্রে দাবি, অন্ডালের রয়্যালটি মোড়ে গতকাল ওই ষাঁড়ের হামলায় কয়েকজন আহত হন। তাঁদের মধ্যে ২ জনকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে।  খবর দেওয়া হয় প্রাণী দফতরে।  এরপর প্রাণী দফতরের কর্মীরা এসে ঘুম পাড়ানি গুলিতে ষাঁড়টিকে কাবু করার চেষ্টা করেন। অভিযোগ, ডোজের হেরফেরে মৃত্যু হয় ষাঁড়ের।  প্রাণী দফতর সূত্রে খবর, ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। 


উল্লেখ্য, রাস্তাঘাটে ষাঁড়ের ঘোরফেরা নতুন কিছু নয়। কিন্তু অন্ডাল বাজারে এক বিশাল আকৃতির ষাঁড়ের উপদ্রব আতঙ্কের কারণ হয়েছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে। গত কয়েকদিন ধরেই ওই ষাঁড়ের হামলায় বেশ কয়েকজন জখম হয়েছিলেন। এমনকি, তাঁদের কয়েকজনকে হাসপাতালেও ভর্তি করতে হয়েছিল। এরইমধ্যে বুধবার রাতে স্থানীয় এক যুবকের  ওপর ওই ষাঁড়টি প্রাণঘাতী হামলা চালায় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।  ষাঁড়ের আক্রমণে রাজু জয়সওয়াল নামে এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছিলেন।  ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত যুবককে চিকিৎসার জন্য দুর্গাপুরের হাসপাতালে ভর্তি করেন। 


এই ঘটনার পর ষাঁড়টি নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়।  স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, এই ষাঁড়টি দিনরাত পুরো এলাকা ঘুরে বেড়াচ্ছিল। এর আগেও, ষাঁড়টি কয়েকজনকে আক্রমণ করেছিল।  ষাঁড়ের হামলায় এর আগেও দুজন  গুরুতর আহত হয়েছিল।  স্থানীয় মানুষ এই ষাঁড়টি আবার কারুর উপর হামলা করতে পারে, এই আশঙ্কায় ভুগতে থাকেন। এ জন্য স্থানীয়রা  প্রশাসনকে অনুরোধ করে এই উপদ্রব সৃষ্টিকারী  ষাঁড়টিকে এলাকা থেকে ধরে বনে ছেড়ে দিতে। এর পর প্রাণী দফতরের উদ্যোগে ঘুম পাড়ানি ইঞ্জেকশন  দেওয়া হয়। এর  পরেই মৃত্যু হয় ষাঁড়টির।


প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে,ঘুমপাড়ানি ওষুধের ডোজে হেরফেরের কারণেই ষাঁড়টির মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। তবে ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে প্রাণী দফতর।