বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর : শুভেন্দু অধিকারীর প্রাক্তন নিরাপত্তারক্ষী খুনের তদন্তে শান্তিকুঞ্জে পৌঁছে গেল তদন্তকারী সিআইডি টিম। বিধানসভার বিরোধী দলনেতার বাড়ির উল্টোদিকে নিরাপত্তারক্ষীদের থাকার জায়গায় প্রথমে পৌঁছয় তারা। সেখানে পৌঁছে মৃত্যুর দিন হাজির অন্যান্য নিরাপত্তরক্ষীদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন সিআইডি অফিসাররা। পরে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতেও যান তারা। কথা বলেন দিব্যেন্দু অধিকারীর সঙ্গেও। বুধবার সকালে প্রথমে কাঁথি থানায় যান সিআইডি অফিসাররা। আইসি-র সঙ্গে বৈঠক করেন ৩ অফিসার।
শুভেন্দু অধিকারীর প্রাক্তন দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় সম্প্রতি মৃতের স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে রুজু হয় খুন ও ষড়যন্ত্রের মামলা। তার প্রেক্ষিতে তদন্তের নথিপত্র নিতে আজ কাঁথি থানায় যায় সিআইডি-র টিম। কয়েকদিন আগেই তারা গোটা ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে। গত ৭ জুলাই কাঁথি থানায় এফআইআর দায়ের করেন শুভেন্দু অধিকারীর প্রাক্তন নিরাপত্তারক্ষীর স্ত্রী। এরপর শুক্রবার এই ঘটনায় খুন ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের ধারায় মামলা রুজু করে কাঁথি থানার পুলিশ। অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর করে তদন্ত শুরু করেছে কাঁথি থানার পুলিশ। ঘটনার প্রায় তিন বছর পর লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন মৃতের স্ত্রী সুপর্ণা।
২০১৮ সালের ১৩ অক্টোবর। নিজের সার্ভিস রিভলভার থেকে গুলি করে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তারক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরের দিন অ্যাপোলো হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। ৩ বছর পরে, স্বামীর মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তুলে স্ত্রী অভিযোগপত্রে লিখেছেন, প্রথম থেকেই স্বামীর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে সন্দেহ ছিল। প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর দেহরক্ষী হওয়া সত্ত্বেও, গুলিবিদ্ধ শুভব্রতকে কলকাতায় নিয়ে আসতে দেরি কেন হল, তা স্পষ্ট নয়, বলে অভিযোগপত্রে প্রশ্ন তুলেছেন সুপর্ণা।
কিন্তু, এতদিন কেন মুখ খোলেননি তিনি? শুভেন্দুর প্রাক্তন দেহরক্ষীর স্ত্রী দাবি করেছিলেন, শুভেন্দু শক্তিশালী। সবাই ওনার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে ভয় পান। তাই সেই সময় আমিও কিছু বলে উঠতে পারিনি। চাঞ্চল্যকরভাবে এফআইআরে এ-ও দাবি করা হয়, দেহরক্ষীর মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তোলায় শুভেন্দু অধিকারী অসন্তুষ্ট হয়েছেন বলে পরিবারের এক সদস্যকে জানান রাখাল বেরা নামে এক ব্যক্তি।