মেদিনীপুর: অবশেষে জল্পনার অবসান। বিজেপিতে যোগ দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। দিলীপ ঘোষের সঙ্গে উঠলেন স্টেজে। অমিত শাহের পায়ে হাত দিয়ে করলেন প্রণাম।  হাতে হাত রেখে বললেন - ভারত মাতা কী জয়।
তারপর মেদিনীপুরের ওই মঞ্চ থেকে বিজেপি নেতা হিসেবে প্রথম বক্তব্য রাখলেন শুভেন্দু। বললেন, 'পৃথিবীর সবথেকে বড় দলের হয়ে বক্তব্য রাখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। '


অমিত শাহকে অভিবাদন জানালেন 'আন-বান-শান' বলে। বললেন, ‘অমিত শাহ আমার বড় দাদা। মুকুলদা বলেছেন, আত্মসম্মান থাকলে তৃণমূলে থাকিস না। যাদের জন্য গ্রামে গ্রামে ঘুরেছি, তারা কেউ খোঁজ নেয়নি। কিন্তু করোনা হয়েছিল যখন তখন অমিত শাহ খোঁজ নিয়েছেন।'
তাঁর দিকে ওঠা অনেক অভিযোগের জবাব দিলেন কড়া ভাবে। বললেন, 'আমি নিজের মায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছি? কে আমার মা?  আমার জন্মদাত্রী মা গায়ত্রী অধিকারী, অন্য কেউ নয়। মা বলতে হলে ভারতমাতাকে বলব, অন্য কাউকে নয়। কেন্দ্রীয় প্রকল্পকে রাজ্যে চালু করা হচ্ছে না’
আরও বললেন, 'অনেকে আমাকে বিশ্বাসঘাতক বলছে! প্রতিষ্ঠার পর এনডিএ-র শরিক ছিল তৃণমূল । এবারও দ্বিতীয় হবেন মমতা, প্রথম হবে বিজেপিই। এবার বাংলায় বিজেপিরই সরকার হবে। যেখানে বিশ্বাস নেই, সম্মান নেই, সেখানে থাকব না।'

সব শেষে তাঁর মুখে আবার 'ভাইপো' প্রসঙ্গ। বিজেপির সুরে সুর মিলিয়েই বললেন, 'তোলাবাজ ভাইপো হঠাও'
এর আগে তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশে একটি খোলা চিঠি দিয়ে শুভেন্দু বলেন, " গত ১০ বছরে কোনও পরিবর্তন হয়নি। নীচুতলার কর্মীরা একটু একটু করে দল তৈরি করেছেন। যাঁরা পার্টি তৈরি করেছেন, তাঁরা গুরুত্ব পাননি । ব্যক্তিগত স্বার্থ দলে প্রাধান্য পেয়েছে। রাজ্যের মানুষকে ঠিক করতে হবে, তাঁরা কী করবেন। গত ১০ বছরে কোনও পরিবর্তন হয়নি। নীচুতলার কর্মীরা একটু একটু করে দল তৈরি করেছেন। যাঁরা পার্টি তৈরি করেছেন, তাঁরা গুরুত্ব পাননি। ব্যক্তিগত স্বার্থ দলে প্রাধান্য পেয়েছে। রাজ্যের মানুষকে ঠিক করতে হবে, তাঁরা কী করবেন। আজ আমাদের কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। রাজ্যের উন্নয়নের জন্য সিদ্ধান্ত নিতে হবে।  তাই আমি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ১০ বছর ক্ষমতায় থাকার পর দুয়ারে সরকারের মতো প্রকল্প নিতে হচ্ছে! আমাদের একসঙ্গে নতুন পথে হাঁটতে হবে।  আশা করি আপনারা আমার সঙ্গে থাকবেন।  তিন দশক আগে যে আদর্শের লড়াই শুরু করেছিলাম, তা চালিয়ে যাব।"