মেদিনীপুর: জল্পনার অবসান। আজই শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলত্যাগী একাধিক নেতা-মন্ত্রী। সেই সঙ্গে হলদিয়ার বিধায়ক সিপিএমের তাপসী মণ্ডল যোগ দিচ্ছেন বলে খবর। বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন কালনার তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু। অমিত শাহর সভায় যোগ দিতে ইতিমধ্যেই মেদিনীপুর রওনা দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে এই তালিকায় আছেন সদ্য তৃণমূলত্যাগী শীলভদ্র দত্ত। তিনিও থাকছেন মেদিনীপুরে অমিত শাহর সভায়। দল ছাড়ছেন গাজোলের তৃণমূল বিধায়ক দীপালি বিশ্বাস। ২০১৬-য় সিপিএমের টিকিটে জিতে একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে তৃণমূলে যোগ দেন দীপালি। আজ যোগ দেবেন বিজেপিতে।


আজ দুপুর আড়াইটে নাগাদ মেদিনীপুরে অমিত শাহর সভায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা ১২ জন বিধায়কের। ইতিমধ্যে মেদিনীপুরের উদ্দেশ রওনা দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।  ২৫ গাড়ির কনভয় রওনা দিয়েছে কোলাঘাটের গেস্ট হাউস থেকে। সেখানে একাধিক বিধায়ক ও নেতা। এদিক জল্পনা বাড়িয়ে আগেই মেদিনীপুরে বর্ধমান পূর্বের তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডল। সূত্রের খবর, তিনি শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গেই রয়েছেন। মেদিনীপুরে পৌঁছে এক নেতার দাবি, আরও অনেকের যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নানাভাবে তাঁদের আসতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। ৩-৪টি গাড়ি পাল্টে তিনি মেদিনীপুরে পৌঁছেছেন বলে ওই নেতার দাবি, খবর সূত্রের। পাশাপাশি, তৃণমূলের বিদ্রোহী সাংসদ সুনীল মণ্ডল ঘনিষ্ঠ মহলে দাবি করেছেন, আরও সাড়ে ৩ বছর লোকসভার মেয়াদ রয়েছে। তিনি ভীত নন। উপ নির্বাচন হলে আবার জিতবেন। মানুষ তাঁর সঙ্গে আছে।

এদিকে, বিশ্বজিৎ কুণ্ডু সম্পর্কে সৌগত রায় দাবি করেন, দলেই থাকছেন কালনার বিধায়ক। এবিষয়ে বিধায়ক বলেন, তৃণমূলের তরফে গতকাল দলে তাঁর থাকা নিয়ে মিথ্যা দাবি করা হয়। শীলভদ্র দত্তের কথায়, দলের সঙ্গে মতপার্থক্যের জেরেই বিজেপিতে যোগদান করছি। এই বিপুল সংখ্যক নেতা, মন্ত্রীদের দলবদল নিয়ে অবশ্য প্রতিক্রিয়া মেলেনি তৃণমূলের।

অন্যদিকে এবার বেসুরো নদিয়ার হরিণঘাটা শহর তৃণমূলের সহ সভাপতি উত্তম সাহা। কাজ করতে পারছেন না বলে অভিযোগ তুলে দলের বিরুদ্ধে উগরে দিলেন ক্ষোভ। তৃণমূলের বিদ্রোহী নেতার অভিযোগ, মূলত ব্লক সভাপতির বাধাতেই উন্নয়নমূলক কাজ করা যাচ্ছে না। পাশাপাশি, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিতও দিয়েছেন তৃণমূলের এই নেতা। অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মেনেই কাজ করা হচ্ছে। বিজেপির কটাক্ষ, তৃণমূল ভাঙাই তাদের লক্ষ্য। তবে সঠিক মূল্যায়ন করেই দলছাড়াদের বিজেপিতে নেওয়া হবে।