কলকাতা: দলবদলের জল্পনাকে আরও উস্কে দিয়ে এইচআরবিসির চেয়ারম্যানের পদ ছাড়লেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজনৈতিক ভবিষ্য়ৎ নিয়ে জল্পনার মধ্যেই চেয়ারম্যান পদে ইস্তফা দিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশনের নতুন চেয়ারম্যান হলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন ইস্তফা? এখনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি শুভেন্দুর।


সংগঠনের শীর্ষ পদাধিকারীদের একাংশের কাজকর্মে শুভেন্দু অধিকারী যে ক্ষুব্ধ, তা আর গোপন নেই। বেশ কিছুদিন ধরেই শুভেন্দু বনাম তৃণমূলের "ঠান্ডা লড়াই" চলছিলই। দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। সূত্রের খবর, বরফ গলাতে বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় ২ দফায় শুভেন্দুর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। কিন্তু এখনও বেরোয়নি রফাসূত্র।


তারমধ্যে গতকালই, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ সিরাজ খান। এরপরই বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর জন্যও দরজা খোলা।


ঠিক তার আগের দিন, অর্থাৎ ২৪ তারিখ শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ আরও দুই নেতার নিরাপত্তারক্ষী প্রত্যাহার করে রাজ্য প্রশাসন। পুরুলিয়া জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি ও তাঁর ছেলের নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে প্রশাসন। পুরুলিয়া জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি সৃষ্টিধর মাহাতো ও তাঁর ছেলে তথা বলরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য সুদীপ মাহাতোর নিরাপত্তারক্ষী তুলে নেয় রাজ্য সরকার।


তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও তাঁর সাম্প্রতিক কোনও সভা-সম্মেলনে তৃণমূলের প্রতীক, ব্যানার, ফেস্টুন কিচ্ছু দেখা যাচ্ছিল না! তাঁকে নিয়ে রাজনৈতিক জল্পনার স্রোত প্রতিদিনই বাড়ছে। জেলায় জেলায় দাদার অনুগামী নামে নানা ধরণের পোস্টারেরও সংখ্যাও বেড়ে চলেছে।


এই পরিস্থিতিতে, এইচআরবিসির চেয়ারম্যানের পদে শুভেন্দুর ইস্তফা সেই জল্পনাকে আরও উস্কে দিল।