১৯ ডিসেম্বর অমিত শাহ আসছেন বাংলায়। সূত্রের খবর, সকাল ১১টায় পশ্চিম মেদিনীপুরের হবিবপুরে সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরে পুজো দিতে যাবেন তিনি। কাছেই বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর মাসির বাড়ি পরিদর্শনেও যেতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপর মেদিনীপুর স্পোর্টস কমপ্লেক্সে বিজেপির নির্বাচন কমিটির সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেবেন শাহ। বৈঠকের পর মেদিনীপুর শহর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে কর্ণগড় মন্দিরে পুজো দিতে যেতে পারেন তিনি। ফেরার সময় এবারও আদিবাসী পরিবারের মধ্যাহ্নভোজ সারার কথা শাহ-র। এরপর সোজা মেদিনীপুর স্পোর্টস কমপ্লেক্সে কৃষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।
শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রের দাবি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সেদিন একমঞ্চে দেখা যেতে পারে শুভেন্দুকে। এরই মধ্যে নন্দীগ্রামের বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দিতে পারেন তিনি।
যদিও, শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ মহলের আরেকটি সূত্রে দাবি, দিল্লি থেকে ঘুরে আসার পর মেদিনীপুরেই আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন শুভেন্দু। সম্প্রতি রাজ্যের দেওয়া জেড ক্যাটিগরির নিরাপত্তা ছেড়ে দেন শুভেন্দু। তারপর থেকে নিরাপত্তা ছাড়াই যাতায়াত করছিলেন তৃণমূলের হেভিওয়েট এই নেতা ও নন্দীগ্রামের বিধায়ক। সূত্রের খবর, নন্দীগ্রামের বিধায়ককে জেড ক্যাটিগরির নিরাপত্তা দেবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আগামী ২-১ দিনের মধ্যেই এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।সূত্রের খবর, শুভেন্দুর নিরাপত্তায় ২৪ ঘণ্টা ৩০ জন কেন্দ্রীয় জওয়ান থাকবেন। সব সময় তাঁকে ঘিরে রাখবেন ১০ জন কমান্ডো। যেখানেই যাবেন, সেখানেই থাকবে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর পাইলট কার। সিআরপিএফকেই শুভেন্দুর নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে সূত্রের দাবি।শুভেন্দুর সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁর, পূর্ব মেদিনীপুর ও কলকাতায় তাঁর বাসভবনে মোতায়েন করা হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রের খবর, সম্প্রতি গোয়েন্দা রিপোর্টে শুভেন্দুর ওপর হামলার আশঙ্কা থেকেই এই সিদ্ধান্ত। যদিও তৃণমূল শিবিরের দাবি, সব কিছুই আগে থেকেই ঠিক ছিল। দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, বাংলায় তো থার্ড গ্রেড, ফোর্থ গ্রেডের নেতারাও সেন্ট্রাল সিকিওরিটি পাচ্ছে, ও যে বিজেপির সঙ্গে আগাম আঁতাঁত করে রেখেছে, তারই প্রমাণ, রাজ্যের সিকিওরিটি ছাড়তেই ওকে কেন্দ্রের সিকিওরিটি দিচ্ছে, আগে থেকে তৃণমূলে থেকে ও বিজেপির সঙ্গে ষড়যন্ত্র করছিল। হলদিয়া টাউন তৃণমূলের কাউন্সিলর ও সহ সভাপতি দেবপ্রসাদ মণ্ডল বলেন, তৃণমূল ছাড়লে লক্ষ্মণ শেঠের চেয়েও খারাপ অবস্থা হবে, তৃণমূলের জোড়া ফুল ছাড়লে হলদিয়াতেই ঢুকতে পারবেন না।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে শুভেন্দুর সভায় এদিন উপস্থিত ছিলেন হলদিয়া ব্লক তৃণমূল সহ সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য সোমনাথ ভুঁইয়া। তবে জেলায় শুভেন্দু অনুগামী বলে পরিচিত বিধায়ক কিংবা হলদিয়া পুরসভার কোনও তৃণমূল কাউন্সিলরকেই ওই সভায় দেখা যায়নি।