বিজেন্দ্র সিংহ ও কৃষ্ণেন্দু অধিকারী: এক মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বৃহস্পতিবার প্রথমে শাহের বাসভবনে যান তিনি। সেখান থেকে বেরিয়ে, সলিসিটর জেনারেল তথা নারদ মামলার সিবিআই আইনজীবী তুষার মেহতার সঙ্গে দেখা করতে যান শুভেন্দু।
তারপর একে একে তৃণমূল ত্যাগী বিজেপি নেতা দীনেশ ত্রিবেদী, পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু অধিকারী।
তবে বিতর্ক দানা বেঁধেছে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতার সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ ঘিরে। নারদকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত শুভেন্দু অধিকারী।
অন্যদিকে সলিসিটর জেনারেলের নারদকাণ্ডে সিবিআই-এর আইনজীবী। তাই এক জন অভিযুক্ত কী করে সরকারি এজেন্সির আইনজীবীর সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল।
কুণাল ঘোষ ট্যুইটে বলেন, নারদ কেলেঙ্কারির এফআইআরে নাম থাকা অভিযুক্ত ব্যক্তি সিবিআইয়ের আইনজীবী তুষার মেহতার সঙ্গে বৈঠক করলেন কেন? বিজেপি কি মধ্যস্থতা করে বাঁচাচ্ছে? নাম না নিয়েই শুভেন্দু অধিকারীকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি তোলেন কুণাল।
তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল আরও বলেন, ও (শুভেন্দু) কেন অমিত শাহর সঙ্গে মিটিং করে তুষার মেহতার কাছে গেল? ও আগামীদিনে হয়ত আগাম জামিনের আবেদন করবে, নারদ কেসে। সিবিআই বেশি বিরোধিতা তৈরি করবে না। এটাই কি সেটিং হল? লোকসভার স্পিকারের কাছে যে সিবিআই অন্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন করছে, সেখানে সিবিআই-এর আইনজীবীর সঙ্গে কেন দেখা করলেন?
যদিও কুণাল ঘোষের মন্তব্যের কোনও উত্তর দিতে চাননি শুভেন্দু অধিকারী। কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, সারদা মামলায় সাড়ে তিন বছর জেল খাটা কারও প্রশ্নের উত্তর আমি দেব না।
কিছুক্ষণের মধ্যেই পাল্টা আরেকটি ট্যুইট করেন কুণাল ঘোষ। বলেন, হ্যাঁ আমি জেলবন্দি ছিলাম। কাদের ষড়যন্ত্র, সবাই জানেন। তার পরেও মাথা উঁচু করে লড়ছি। জেলের ভয়ে দল বদলে পাশের পাড়ার জেঠুকে বাবা বলে ডাকতে যাইনি। তফাৎটা মেরুদণ্ডে। শুভেন্দু অধিকারীর নাম না নিয়ে ট্যুইটারে কুণালের আক্রমণ, আজ যে জেল এড়াতে ঘুরছে, তাকেও বন্দি হতে হবে।