রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়ক তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই ক্রমাগত আক্রমণ শানাচ্ছিলেন তাঁর প্রাক্তন দলকে। তবে সভামঞ্চ ছেড়ে এই প্রথমবার কোনও সাক্ষাৎকারের মঞ্চে বসেছিলেন তিনি। এবিপি আনন্দের স্টুডিওয় বসে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা একাধিক অভিযোগের যেমন জবাব দিয়েছেন তিনি, তেমনই একের পর এক পাল্টা আক্রমণও ছুড়ে দিয়েছেন।
রাজ্যে বিধানসভা ভোটের ঠিক কয়েক মাস আগে দলবদলের জেরে তাঁর উদ্দেশ্যে সেঁটে দেওয়া হয়েছে বিশ্বাসঘাতক তকমা। কেন এই দলবদল জানতে চাইলে বিস্ফোরক মেজাজে নাম না করে সরাসরি তৃণমূলনেত্রীর উদ্দেশ্যে শুভেন্দুর পাল্টা, ‘ভোটের আগে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়। ওনাকে সরানোর সময় এসেছে, তাই সিদ্ধান্ত। রাজীব গাঁধী ওনাকে তুলে এনেছিলেন। কংগ্রেসের খেয়ে, পরে, নাম করে, রাজ্যে সমান্তরাল কংগ্রেস করেছিলেন। আড়াআড়ি ভাগ করেছিলেন কংগ্রেসকে। কংগ্রেসের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন।‘
দল ছাড়ার কারণ হিসেবে শুভেন্দু অধিকারীর সংযোজন, ‘‘ব্যক্তিকেন্দ্রিকতা থেকে মুক্ত করতে হবে। দেড়টা লোক মিলে সবকিছু চালাবে, উনি আর ওনার ভ্রাতুষ্পুত্র। এর নিরসন করতে হবে। আমি ঝুঁকি নিতে তৈরি। আমার বিরুদ্ধে মামলার চেষ্টা করছে। কীভাবে টাইট দেওয়া যায় দেখছে। এই চেষ্টা অনেকদিন ধরেই করছেন। তবে ওনার ডাইনে-বাঁয়ে যাঁরা আছেন, সবাই অবশ্য ওনার লোক নন।‘
পাশাপাশি নন্দীগ্রাম আন্দোলন প্রসঙ্গে শুভেন্দুর সংযোজন, ‘নন্দীগ্রাম আমার আন্দোলন, একথা কখনও বলিনি, বলেছি নন্দীগ্রাম মানুষের আন্দোলন। তৃণমূলের নেতারা এখন বলছেন, নন্দীগ্রাম মমতার আন্দোলন, এখানেই আমার আপত্তি, এত আমিত্ব কীসের জন্য?’
দলে থাকার সময় থেকেই তাঁর ফোন ট্যাপ হত বলেও অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘আমরা মন্ত্রী ছিলাম, সাংসদ ছিলাম, আমাদের ফোন ট্যাপ করা হত, গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা হত।‘ সঙ্গে তাঁর ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টাও দীর্ঘদিন ধরেই হচ্ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘১১-র ২১ জুলাই থেকে পিছনে লেগেছে। সেদিন ভাইপোকে যুবার সভাপতি করেন। একই দলে দু’টো যুব সংগঠন? কোন রাজনৈতিক দলে আছে?’