উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, সঞ্চয়ন মিত্র ও বাচ্চু দাস, কলকাতা: কসবা ভ্যাকসিনকাণ্ডে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দু অধিকারীর। কসবা ভ্যাকসিনকাণ্ডে ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছে বিজেপি। এবার এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
চিঠিতে শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, ধৃত দেবাঞ্জন দেবের উদ্যোগে পুরসভার ব্যানারে, ভুয়ো ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প হয়েছে কসবায়। সোনারপুর, আমহার্স্ট স্ট্রিটেও, তৃণমূল সরকারের নানা অনুষ্ঠানের মতো নীল-সাদা বেলুনে সাজানো ক্যাম্প হয়েছে। শিবিরগুলিতে কয়েকশো মানুষ ভ্যাকসিন নিয়েছেন। সবটাই হয়েছে, স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনের নজরদারিতে। এখন বড় প্রশ্ন হল, অভিযুক্তের দাবি অনুযায়ী এগুলি কি সত্যিই কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন? যদি তা হয়, তাহলে বড় প্রশ্ন ওঠে, সরকারের কাছে থাকা ভ্যাকসিন প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তরের অনুমতি ছাড়া কী করে বাইরে গেল? যদি, সেগুলি কোভিড ভ্যাকসিন না হয়, তাহলে এখনই তদন্তের প্রয়োজন। কোনও বিষাক্ত ওষুধ দেওয়া হয়েছিল, না কি হামের ভ্যাকসিন না কি শুধু জল দেওয়া হয়ছিল- তা দেখতে হবে।
চিঠিতে শুভেন্দু অধিকারী উল্লেখ করেন, এই ভ্যাকসিন নেওয়ার পর কারও মৃত্যু হলে, তা কেন্দ্রের ঐতিহাসিক গণটিকাকরণ অভিযানের পক্ষে খারাপ দৃষ্টান্তই শুধু নয়, অভিযানের বিশ্বাসযোগ্যতাও নষ্ট করবে। দেবাঞ্জনের প্রভাবশালী-যোগের অভিযোগের ক্ষেত্রে, শাসকদলের নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে তার বিভিন্ন ছবির কথাও চিঠিতে উল্লেখ করেন শুভেন্দু।
পাল্টা শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করেছেন পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ওর খেয়ে দেয়ে কোনও কাজ নেই, এসব করছে, যখন মোদির ছবি মেহুল চক্সির সঙ্গে দেখা গেছিল, তখন কি হয়েছিল? সর্বোচ্চস্তরে তদন্ত চলছে। সিট গঠন করা হয়েছে।
ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে এদিন, ফের একবার সুর চড়িয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ভ্যাকসিন জালিয়াতিতে পুরসভা যুক্ত। পুরসভার অফিস থেকেই এগুলো হয়েছে। রাজ্য সরকার সিবিআই চাইছে না, কারণ সরকার যুক্ত আছে। এ প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষ বলেন, পুরসভা কোনও দায় ঝেড়ে ফেলছে না, যা করার তাই করছে। ওদের বক্তব্য দেওয়া ছাড়া কাজ নেই, ঘর সামলাতে না পেরে, এসব বলছে। ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডের প্রতিবাদে এদিন কসবার থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি ও কংগ্রেস।