সন্দীপ সরকার, কলকাতা : স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলে, কোনওভাবেই রোগীকে ফেরানো যাবে না। চিকিৎসার দায়িত্ব নিতে হবে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি হাসপাতালকেই। সোমবার বেসরকারি হাসপাতালের উদ্দেশে, এমনই কড়া বার্তা দিলেন রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও, কিছু বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে রোগীকে ভর্তি না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই প্রেক্ষাপটে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে সতর্ক করলেন কমিশনের চেয়ারম্যান অসীম বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, 'আমাদের কাছে এমন অভিযোগ আসছে। আমরা বলে দিতে চাই কোনওভাবেই রোগীকে ফেরানো যাবে না। এধরনের অভিযোগ এলে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি হাসপাতালকেই দায়িত্ব নিতে হবে। দায় বর্তাবে বেসরকারি হাসপাতালের উপর'
সব বেড স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় না আনার জন্য, রাজ্যের কাছে বারবার দাবি জানিয়েছে বেসরকারি হাসপাতালগুলি। এই নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান। রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'ওদের পক্ষে এত বেড সম্ভব নয়, ১০০ শতাংশ বেড করে দিতে গেলে বেসরকারি হাসপাতাল উঠে যাবে। সরকারের এটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, কত বেড থাকবে। কমিশনের কিছু করার নেই। '
আরও পড়ুন :
দূষণ-যন্ত্রণার আবহেই ৬ বছরের মধ্যে রেকর্ড ডেঙ্গি সংক্রমণ দিল্লিতে
সোমবার মল্লিকবাজারের ইন্সটিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সেসে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান। ইনস্টিটিউট ইফ নিউরোসায়েন্সেসে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে পিয়ারলেস হাসপাতালে তাদের কয়েকটি বেড থাকলেও, সেখানে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা পাওয়া যায় না। দু’জায়গায় কেন দু’রকম নিয়ম, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান।
অন্যদিকে, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের টাকা ফুরিয়ে গেলেও, বিনামূল্যে চিকিৎসা মিলবে সরকারি হাসপাতালে। জানিয়ে দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা। সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা করাতে গেলে, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বাধ্যতামূলক।
গত ২৬ অক্টোবর এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। নির্দেশিকায় বলা হয়, সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা করাতে গেলে স্বাস্থ্যসাথী, রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য প্রকল্প, কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য প্রকল্প কিংবা ESI কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক।
এর মধ্যে কোনওটাই না থাকলে, সরকারি হাসপাতালেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৈরি করে দেওয়া হবে।