কলকাতা: রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৈঠকের পর খানিকটা স্বস্তিতে মিষ্টি ব্যবসায়ীরা। মিষ্টির ট্রেতে বেস্ট বিফোর লিখলেই হবে। রোজ পাল্টাতে হবে না এক্সপায়রি ডেট। নতুন প্রস্তাবে সায় কেন্দ্রীয় খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রক সংস্থা এফএসএসএআই-এরও।


সামনেই পুজো। লকডাউনের ধাক্কা সামলে মিষ্টি-কারবারিরা সুখের মুখ দেখবেন ভাবছেন! ব্যবসায়ীদারদের দাবি, এই সময় যদি প্রতিদিন মিষ্টির ট্রেতে ‘এক্সপায়রি ডেট’ পাল্টাতে হয়, তাহলে তো লাভের গুড় পিঁপড়েয় খাবে। এই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ক্রেতা-সুরক্ষামন্ত্রী সাধন পাণ্ডের সঙ্গে বৈঠক করেন মিষ্টি ব্যবসায়ীরা। বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যদফতর ও কেন্দ্রীয় খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রক সংস্থা এফএসএসএআই-এর আধিকারিকরা।

বৈঠকে কলকাতার মিষ্টির ব্যবসায়ীরা প্রস্তাব দিয়েছেন, মিষ্টির ট্রেতে ‘বেস্ট বিফোর ইউসড’ লেখার। গ্রামের মিষ্টি ব্যবসায়ীরা দোকানে বোর্ডে লিখে রাখবেন,কোন মিষ্টি কতদিন খাওয়া যেতে পারে। সেই প্রস্তাবে সায় দিয়েছে রাজ্য সরকার। মন্ত্রীর দাবি সায় দিয়েছে এফএসএসএআই-ও। ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে বলছেন, ‘অনেকেই আপত্তি তুলেছিল। বেশি লোক নিয়োগ করতে পারবে না ব্যবসায়ীরা। প্রতিদিন ডেট দেওয়া সম্ভব নয়। এফএসএসএআই-ও সায় দিয়েছে। রোজ না ডেট দিলেও চলবে। তবে এটা অ্যাডভাইসারি।’

মিষ্টি উদ্যোগের সভাপতি ধীমান দাস বলছেন, ‘রাজ্য সরকার মানছে ভালো। প্রতিদিন ডেট দেওয়া সম্ভব নয়। গ্রামের মিষ্টি ব্যবসায়ীরা অবশ্য দোকানে বোর্ডে লিখে রাখবেন কোন মিষ্টি কতদিন খাওয়া যেতে পারে।’ সম্প্রতি এক নির্দেশিকায় এফএসএসএআই বলে, কবে মিষ্টি তৈরি হয়েছে সে কথাও উল্লেখ করতে হবে, তবে তা বাধ্যতামূলক নয়। কিন্তু মিষ্টি তৈরির পর তার ‘এক্সপাইরি ডেট’ উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক। লিখতে হবে কী দিয়ে তৈরি মিষ্টি (ঘি, তেল নাকি বনস্পতি)। এফএসএসএআই-এর রেজিষ্ট্রেশন নম্বরও লিখতে হবে মিষ্টির ট্রেতে। তারপরই এদিন বৈঠকে বসেন মিষ্টি ব্যবসায়ীরা।