সোমনাথ মিত্র, তারকেশ্বর: তোলা না দেওয়ায় হুগলির তারকেশ্বরের ব্যবসায়ীর উপর হামলার অভিযোগ স্থানীয় ক্লাবের সদস্যদের বিরুদ্ধে। ক্লাবে অসামাজিক কাজকর্মের অভিযোগ এলাকার বাসিন্দাদের।


স্থানীয় পুর প্রশাসক জানিয়েছেন, এই ঘটনায় তিনি পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন । অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে থানা।


বিকেলের ব্যস্ত সময়ে দোকানে ঢুকে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। সিসি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, দোকান-মালিককে ঘিরে ধরে নাগাড়ে কিল-চড়-ঘুষি মারে ৪-৫ দুষ্কৃতী। উইকেট দিয়ে ব্যবসায়ীর মাথায় আঘাতও করা হয়।  মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ব্যবসায়ী। 


এই ঘটনা তারকেশ্বর পুরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের পদ্মপুকুর এলাকার।ছবিতে মারধর করতে যাদের দেখা গিয়েছে, তারা পাড়ারই ক্লাবের সদস্য বলে অভিযোগ। 


কিন্তু পরিচিত মুখগুলি হঠাৎ কেন হামলা চালাল? আক্রান্ত ব্যবসায়ী মিলন সরকারের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার স্থানীয় উজ্জ্বল সংঘের কয়েকজন সদস্য দোকানে ঢুকে তোলা চায়। টাকা দিতে অস্বীকার করায় হিংস্র হয়ে ওঠে তারা।


তিনি অভিযোগ করেছেন, আমার পিঠে, হাতে, চোখের নীচে প্রচণ্ড লাগে।  পরিবারের সদস্যারা বাধা দিলে ওদেরও মারধর করা হয়।  


আক্রান্তের মা বলেছেন,এই ঘটনায় আতঙ্কে আছি আমরা। আমরা চাই এর সুষ্ঠু সমাধান। 


স্থানীয় ক্লাবটি ক্রমশই দুষ্কৃতীদের আখড়া হয়ে উঠছে বলে ব্যবসায়ীকে মারধরের ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এলাকাবাসী। স্থানীয় এক বাসিন্দার অভিযোগ, এর আগে আমার ভাইকেও মারধর করা হয়েছে । যখন কোন  ঘটনা ঘটে কিছুদিন ক্লাবে তালা মারা থাকে আবার পরিবেশ ঠান্ডা হলে অত্যািচার শুরু করে দেয়। 


যদিও স্থানীয়দের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ক্লাবের সহ সভাপতি।তিনি বলেছেন, এটা ক্লাবের ব্যাপার নয়। ক্লাবে ৫০ জন সদস্য থাকতে পারে। তার মধ্যে এক দুজনের সঙ্গে যদি কোনও ঝামেলা হলে সেটা তাঁদের ব্যাপার। এর সঙ্গে ক্লাবের যোগ নেই। আমাদের ক্লাব অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত নয়।


ঘটনার পর তারকেশ্বর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ব্যবসায়ীর পরিবার।


তারকেশ্বর পুরসভা প্রশাসক স্বপন সামন্ত বলেছেন, একটা ঘটনা ঘটেছে খবর পেয়েছি। তবে এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। পুলিশকে বলেছি বিষয়টা খতিয়ে দেখতে। তবে এর আগে এই ক্লাব নিয়ে আমরা কোন অভিযোগ পায়নি। 


তারকেশ্বর থানা সূত্রে খবর, মারধরের একটা অভিযোগ হয়েছে। বিষয়টা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।