কলকাতা:  এদিনই ট্যুইট করে বিজেপি ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বিজেপি নেতা তথাগত রায় বলেছেন, বিজেপির ঘাড় থেকে একটা ভূত নামল। এজন্য   বিজেপির কালীঘাটে পুজো দেওয়া উচিত। তিনি যে এতদিন দলে ছিলেন, সেটাই তো জানতাম না ।  তথাগতর তীর্যক মন্তব্য, তিনি যে  রাজ্যের উন্নয়নের জন্য তিনি এত গভীরভাবে চিন্তা করেন, তা জানতে পেরে  আমি অভিভূত।


তথাগত রায়ের আরও কটাক্ষ, গরিবের কথা বাসি হলে মিষ্টি হয়। 


শ্রাবন্তীর দলত্যাগ সম্পর্কে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, উনি কোনও কারণ জানাননি।  শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের দল ত্যাগে বিজেপিতে কোনও প্রভাব পড়বে না। তিনি দলে থাকলে ভালো হত। কারণ, তিনি বিজেপির প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু বিজেপি কোনও ব্যক্তিভিত্তিক রাজনীতি করে না। কোনও মুখের ওপর দল নির্ভরশীল নয়। সংগঠনের ভিত্তিতে বিজেপি দল চলে। সংগঠনের কেউ গেলে বিজেপির ক্ষতি। শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের দল ত্যাগে কোনও ক্ষতি হবে না।


বিধানসভা নির্বাচনে তারকাদের বিজেপির প্রার্থী করা নিয়ে প্রথম থেকেই দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত ছিলেন তথাগত রায়।  তারকা প্রার্থীদের কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন তিনি। ভোটে দলের বিপর্যয়ের পর ট্যুইট করে দলীয় নেতৃত্বকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছিলে তিনি। ট্যুইটে তিনি  লেখেন, "এইসব তারকাদের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। এই মহিলারা রাজনৈতিকভাবে সম্পূর্ণ বুদ্ধিহীন। এঁরা মদন মিত্রের সঙ্গে স্টিমারে চেপে প্রমোদ ভ্রমণে গিয়েছিলেন। প্রমোদ ভ্রমণে গিয়েছিলেন নির্বাচনের মাত্র একমাস আগে। এঁরা প্রত্যেকেই নির্বাচনে হেরে ভূত হয়েছেন। কিন্তু এই মহিলাদের কী গুণ আছে? এঁদের কে আর কেনই বা টিকিট দেওয়া হয়েছিল? কৈলাস, শিবপ্রকাশ, দিলীপ, অরবিন্দ প্রভুরা একটু আলোকপাত করবেন কী? বিজেপির টিকিট পেলে নির্বাচনের কাজের জন্য যথেষ্ট অর্থও পাওয়া যায়। এর কি অন্য কোনও উদ্দেশ্য আছে তাহলে?" তিনি এই প্রার্থীদের 'নগরীর নটী' বলেও সম্বোধন করেন। তথাগতর এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় (Srabanti Chatterjee) বলেছিলেন, "উনি এতদিন ধরে বিজেপি করছেন। উনি কী করে তিনজন মহিলার নামে কোনও প্রমাণ ছাড়া এই ধরনের কথা বলতে পারেন? ওঁনার কাছে কি কোনও প্রমাণ আছে আমরা নির্বাচনের টাকা নিয়ে ঘুরে বেরিয়েছি। প্রমাণ থাকলে দেখান আগে।"