কলকাতা: চৈত্র শেষের ছক ভাঙা গরমে অতীতের রেকর্ড চুরমার। গত দশ বছরে এতটা ঊর্ধমুখী হয়নি কলকাতার পারদ। উষ্ণতায় এ শহর পিছনে ফেলে দিয়েছে মরু শহরকেও।


এখনও মাঠে নামেনি বৈশাখ। কিন্তু শুরু থেকেই চালিয়ে ব্যাট করছে চৈত্র।

গত কয়েকদিন ধরে কলকাতা সহ পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে চলছে তাপপ্রবাহ। ব্যতিক্রম হয়নি এদিনও। সকাল থেকেই মাথার ওপর আগুন। বাতাসে আগুনের হল্কা। মঙ্গলবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি।

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী ৭২ ঘণ্টা কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে চলবে তাপপ্রবাহ।

গত ১০ বছরের এপ্রিলের হিসেব ধরলে কলকাতার পারদ কখনও এতটা ওপরে ওঠেনি।

২০০৯ এবং ২০১৪ সালের এপ্রিলে কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবারই ভেঙে গিয়েছে সেই রেকর্ড। সোমবার  জয়সলমীরের তাপমাত্রা যেখানে ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সেখানে সোমবার কলকাতা ছিল ৪১ দশমিক ৩।

কলকাতার পাশাপাশি, শেষ চৈত্রে পুড়ছে জেলাও। বাঁকুড়া, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর ও পুরুলিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ।

একদিকে, তাপপ্রবাহ, অন্যদিকে লাফিয়ে বাড়ছে আর্দ্রতার সূচক। সাঁড়াশিচাপে নাজেহাল রাজ্যবাসী।

আবহবিদরা জানিয়েছেন, এখনই কালবৈশাখীর সম্ভাবনা নেই। আগামী কয়েকদিন কলকাতার পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে চলবে তাপপ্রবাহ।

এবছর গরম যে ছক ভাঙা হবে তার পূর্বাভাস মিলেছিল গতবারই, বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার পূর্বাভাসে।

আবহবিজ্ঞানীরা বলছেন, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া উচ্চচাপ বলয় এ সময় দক্ষিণবঙ্গে যে পরিমাণ জলীয় বাষ্প ঢোকায়, এবার তা হয়নি। ফলে এখনও দানা বাঁধেনি মেঘ। দেখা নেই কালবৈশাখীর।