পূর্ণেন্দু সিংহ ও সুদীপ চক্রবর্তী: বাঁকুড়ার ওন্দায় দ্বারকেশ্বরের জলে ভেসে গেল অস্থায়ী সেতু। ভেলায় ঝুঁকির পারাপার স্থানীয়দের। বর্ষার শেষে সেতুর সংস্কার হবে, আশ্বাস জেলা পরিষদের সভাধিপতির। কটাক্ষ বিজেপির। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় বৃষ্টিতে জলবন্দি স্থানীয়রা। সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে, আশ্বাস ইসলামপুরের মহকুমা শাসকের।
কোথাও ভাঙনের গ্রাসে গ্রাম। কোথাও ভেসে যাচ্ছে সেতু। ভরা বর্ষায় রীতিমতো নাকের জলে-চোখের জলে হচ্ছেন বাঁকুড়াবাসী। অল্প বৃষ্টিতেই জল থৈ থৈ অবস্থা। বাঁকুড়ার ওন্দায় দ্বারকেশ্বরের ওপারে থাকা ভাদুল ভাসা সাঁকো এখন জলের তলায়। ফলে ভেলা তৈরি করে ঝুঁকির পারাপার করতে হচ্ছে স্থানীয়দের। জীবন-জীবিকার স্বার্থে বাজি রাখতে হচ্ছে প্রাণ। তাই প্রশাসনের কাছে পাকা সেতু তৈরি করে সমস্যা সমাধানের দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয়রা।
বাঁকুড়ার ওন্দার বাসিন্দা সরস্বতী বাউরি বলেন, ভয়ে ভয়ে প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই ভেলায় যাতায়াত করতে হচ্ছে। রাতেও এভাবে যাতায়াত করছি। ওই এলাকার আরেক বাসিন্দা চণ্ডী সূত্রধরের কথায়, একটা ভাল ব্রিজ হলে ভাল হয়। সরকার দেখুক। যদিও দুর্ঘটনার আশঙ্কা উড়িয়ে জেলা পরিষদের সভাধিপতির আশ্বাস, বর্ষার শেষে সংস্কার করা হবে সেতুর। জেলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু বলেন, বর্ষা শেষেই ভাসা পুল সংস্কার করা হবে। নদীতে এক কোমর সমান জল থাকে। সেই জলে ভেলা চলছে। দুর্ঘটনার আশঙ্কা নেই, বড় জোর পড়ে গেলে ভিজে যাবে।
বিজেপি নেতা পার্থ কুণ্ডুর কথায়, “এলাকার মানুষ বহুদিন ধরেই স্থায়ী সেতুর দাবি করছেন। কিন্তু রাজ্য সরকার প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ। ভাসা পুল সংস্কারের নামে কাটমানির খেলা চলছে এখানে। কোনওদিনই সমস্যার সমাধান করবে না।“
অন্যদিকে, টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে জলের মধ্যেই বাস করছেন উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার দাসপাড়ার বাসিন্দারা। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার বাসিন্দা মহম্মদ সালিমুদ্দিন বলেন, গ্রাম ডুবে গেছে, রান্নার ব্যবস্থা নেই। জল সংস্কারের ব্যবস্থা নেই। গ্রামে থাকতে পারছি না। ত্রাণের আবেদন করছি। পঞ্চায়েতকে বলেও লাভ হয়নি। চোপড়ার দাসপাড়া পঞ্চায়েতের সদস্য আজিজুল হক বলেন, টানা বৃষ্টির জন্য গ্রামে জল জমেছে। প্রধান ও বিডিওকে জানিয়েছি, সদুত্তর পাইনি। মহকুমা শাসক জানিয়েছেন দ্রুত সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা নেবেন চোপড়ার বিডিও।