মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায় ও রঞ্জিত হালদার: বিজেপির রথযাত্রা এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ চড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। উত্তর ২৪ পরগণা, কলকাতার পর এবার একই রকম অভিযোগ দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম বর্ধমান জেলা থেকেও। বিজেপির অভিযোগ তাদের শোভাযাত্রার পথে বিক্ষিপ্ত অশান্তি তৈরি করছে তৃণমূল। দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পশ্চিম বর্ধমান  দুই জেলার দুই প্রান্তে বিজেপির রথযাত্রায় কালো পতাকা দেখানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল।


বাঁকুড়ার মেজিয়া থেকে রানিগঞ্জ হয়ে শুক্রবার পশ্চিম বর্ধমানে ঢোকে বিজেপির পরিবর্তন রথ। অন্ডালের দক্ষিণখণ্ড এলাকা রথ পৌঁছতেই কালো পতাকা দেখান একদল। অভিযোগ তারা তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। সেইসময় রথে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়, কেন্দ্রীয় নেতা রাহুল সিনহা।


অন্যদিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে বিজেপির রথযাত্রাতেও দেখানো হয় কালো পতাকা। ভাঙড়ের বামনঘাটা এলাকায় তৃণমূলের পার্টি অফিসের কাছাকাছি রথ পৌঁছতেই কালো পতাকা দেখান দলের কর্মীরা। কারও হাতে ছিল তৃণমূলের পতাকা। গ্যাসের দামবৃদ্ধির প্রতিবাদে সিলিন্ডারও কাঁধে তুলে নেন কেউ কেউ।


ঝামেলার সময় অবশ্য রথে ছিলেন না কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেত্রী স্মৃতি ইরানি। ছিলেন বিজেপি সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ও বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী ও বিজেপি নেত্রী স্মৃতি ইরানি জানান, ‘‘জিতব আমরাই। বাংলায় বিজেপি আসছে। তৃণমূল যাচ্ছে ৷’’


বৃহস্পতিবার, ঠাকুরনগরের সভা থেকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ফের বহিরাগত তকমা দিয়ে আক্রমণ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি ভূমিপুত্র, বহিরাগত নই। ভোটের পর প্লেনে করে ওদের গুজরাত, দিল্লি পাঠাব ৷’’


অভিষেকের গড়ে দাঁড়িয়ে যার জবাব দিয়েছেন স্মৃতি ইরানি। কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী ও বিজেপি নেত্রী স্মৃতি ইরানি জানান, মমতার তো কংগ্রেসের সঙ্গে ভাব। অন্যদের সঙ্গে ভাব। তাঁরা বহিরাগত না? সবমিলিয়ে ভোটের আগে বাঙালি বনাম বহিরাগত তত্ত্ব ঘিরে জমি উঠেছে তরজা।