এর আগে প্রাথমিকে প্রশিক্ষণহীনদের নিয়োগের সময়সীমা বাড়াতে কেন্দ্রকে পাঠানো চিঠির প্রতিলিপি দাখিল করতে না পারায় মঙ্গলবার রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি সি এস কারনান। বৃহস্পতিবার শুনানির শুরুতেই সেই চিঠির কপি পেশ করেন সরকারি আইনজীবী।
রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণহীনদেরও সুযোগ দিতে গতবছর কেন্দ্রকে চিঠি দেয় রাজ্য। কেন্দ্র এবছর ৩১ মার্চ পর্যন্তত সময় বৃদ্ধি করে। যদিও তার মধ্যে কোনও নিয়োগ হয়নি। এখন সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর, আর যাতে নতুন করে সময় দেওয়া না হয় তার জন্য কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পরীক্ষার্থী চিন্ময় দলুই।
আবেদনকারীর দাবি, রাজ্য যখন চিঠি দিয়ে সময়সীমা বাড়ানোর আর্জি জানায়, তখনই রাজ্যে পর্যাপ্ত সংখ্যক প্রশিক্ষিত প্রার্থী ছিলেন। মামলাকারীর আইনজীবী এদিন অভিযোগ বলেন, এই চিঠিতে সমস্ত তথ্য দেওয়া হয়নি। কত শূন্যপদ, কত প্রশিক্ষিত প্রার্থী আছে, কত অপ্রশিক্ষিত প্রার্থী আছে, কতজন টেট উত্তীর্ণ এসব নেই।
সরকারি আইনজীবী তখন বিচারপতির উদ্দেশে বলেন, আমরা আদালতকে আশ্বস্ত করছি... প্রশিক্ষিত ও টেট উত্তীর্ণ প্রার্থী দিয়ে প্রাথমিকে শিক্ষকের শূন্যপদ পূরণ করা সম্ভব হলে, আমরা একজনও অপ্রশিক্ষিতকে নিয়োগ করব না। যদি প্রশিক্ষিত পরীক্ষার্থীরা কোনও কারণে টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হন, কেবলমাত্র সেক্ষেত্রেই অপ্রশিক্ষিত, টেট উত্তীর্ণদের নিয়োগ করা হবে।
যদিও, মামলাকারীর আইনজীবী রাজ্য সরকারের এই আশ্বাসে সন্তুষ্ট নন।
বিচারপতি এদিন নির্দেশ দিয়েছেন, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যে স্থিতাবস্থা জারি করা হয়েছিল, পরবর্তী নির্দেশ পর্যন্ত তা বহাল থাকবে। ২৬ অগাস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি।