জয়দীপ হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সুন্দরবন বাঁচাতে ম্যানগ্রোভ লাগানোর উদ্যোগ নিল প্রশাসন। পুলিশ সুপারের পাশাপাশি গাছ লাগালেন স্থানীয় বিধায়ক। যদিও বাসিন্দারা দাবি জানিয়েছেন, ম্যানগ্রোভ লাগানোর পাশাপাশি এলাকায় পাকা বাঁধ তৈরি হোক। তবেই সুন্দরবন বাঁচবে বলে দাবি তাঁদের।
বঙ্গোপসাগরের বুক থেকে উঠে আসা জলদৈত্য ধুয়ে মুছে সাফ করে দিয়েছে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা। ইয়াসের ক্ষত এখনও দগদগে। ঘূর্ণিঝড়ের দোসর ভরা কটালের জলোচ্ছ্বাসে বহু জায়গায় ভেঙে গিয়েছে সমুদ্র বাঁধ। ভাঙন ধরেছে নদী বাঁধে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্বিচারে ম্যানগ্রোভ ধ্বংসই সুন্দরবনকে বারবার বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। তাই ইয়াস-পরবর্তী ধাক্কা সামলে ওঠার পাশাপাশি সুন্দরবন বাঁচাতে ফের উদ্যোগী হল প্রশাসন।
লক্ষ্য ৫ কোটি ম্যানগ্রোভ লাগানো হবে। বুধবার থেকে শুরু হল সেই কাজ। সুন্দরবন ও উপকূলের ভাঙন রুখতে কিছুদিন আগেই ব্যাপক হারে ম্যানগ্রোভ লাগানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথা মতোই এ বার গাছ লাগাতে এগিয়ে এল সুন্দরবন জেলা পুলিশ।
গত বুধবার থেকেই সুন্দরবন পুলিশরা জেলায় জেলায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির সূচনা করেছেন। এ দিন কাকদ্বীপের হারউড পয়েন্ট উপকূল থানার রামতনুনগরে মুড়িগঙ্গা নদীর পাড়ে কয়েক হাজার ম্যানগ্রোভ চারা বসালেন পুলিশকর্মীরা।
সুন্দরবন পুলিশ জেলার উদ্যোগে লাগানো হবে আরও ৪০ হাজার গাছ। সুন্দরবন পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ইয়াস বিপর্যয়ের প্রভাব পড়েছে সুন্দরবনের গ্রামীণ অর্থনীতিতে। ম্যানগ্রোভ রোপণের কাজকে ১০০ দিনের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
কাকদ্বীপ তৃণমূল বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা জানিয়েছেন, যদিও ম্যানগ্রোভ লাগানোর পাশাপাশি স্হানীয় বাসিন্দারা দুর্বল বাঁধ পাকা করারও দাবি জানিয়েছেন। আকাশে মেঘ ঘনালে এখন বুকে কাঁপন ধরে সুন্দরবনবাসীর। ম্যানগ্রোভ লাগানোর প্রশাসনিক উদ্যোগকে তাই স্বাগত জানিয়েছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে। সেই সঙ্গে অনেকটাই সম্প্রসারিত হয়েছে সুন্দরবন। বুধবার এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশেও সুন্দরবনের একটা বিস্তীর্ণ এলাকা আছে।